নিজস্ব প্রতিবেদক :
বেসরকারি খাতকে প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন আখ্যা দিয়ে উন্নয়ন সহযোগী ও দেশি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এসডিজি অর্জনে বিকল্প অর্থায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নিজস্ব উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে হবে। অর্থায়নের ক্ষেত্রে বেসরকারি খাত ও নিজস্ব অর্থের উৎসকে প্রাধান্য দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘ইন্টিগ্রেটেড এসডিজি ফাইনান্সিং অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং মাল্টি-স্টেকহোল্ডারস পার্টনারশিপস’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় এসব কথা উঠে আসে।
উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম (বিডিএফ)’ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে এটি ছিল শেষ আলোচনা।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য ও জ্যেষ্ঠ সচিব ড. শামসুল আলম। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসডিজিবিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী, বিশ্ব ব্যাংকের ক্রিস্টিয়ান ইজেল-জুকি ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, এসডিজি একক কোনো দেশের এজান্ডা নয়, এটি বৈশ্বিক এজেন্ডা। এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে অংশীদারিত্ব অন্যতম। আমার মতে, বাংলাদেশের এসডিজি অর্জনে বিদেশি সহযোগীদের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মূল প্রবন্ধে ড. শামসুল আলম বলেন, এসডিজি অর্জনে আগামী ১৩ বছরে বাংলাদেশের অতিরিক্ত ৯২৮ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ অর্থায়ন বিদেশি উৎস থেকে আসবে। অর্থায়ন বলতে কেবল টাকা-পয়সা দিয়ে সহযোগিতা নয়, জ্ঞান-প্রযুক্তি ও উন্নয়ন অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তারা এ সহযোগিতা করবেন।
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, অর্থায়নের সমস্যা সব সময় থাকে, থাকবে। তবে এসডিজি বাস্তবায়নের অর্থ আসবেই।
কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, বাংলাদেশে প্রান্তিক পর্যায়ে ছোট ছোট প্রকল্প বেশি কার্যকর। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয়ও কম। এগুলো থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠী বেশি উপকৃত হয়। এক পর্যায়ে তারা নিজেরাই সাবলম্বী হয়ে উঠে।
সুদীপ্ত মুখার্জী বলেন, বাংলাদেশ উন্নতি করছে। তবে উন্নতির আরো সুযোগ আছে। বাংলাদেশে ট্যাক্স জিডিপি অনুপাত একেবারেই কম। আবার অনেক প্রকল্পে বেশি ব্যয় হয়। আমার মতে, বাংলাদেশ খুব ভালো করছে তা নয়, তবে দিন দিন উন্নতি করছে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর