নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘পাট আইন-২০১৭’ এর ধারা-১৩ মোতাবেক পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত আন-কাট, বিটিআর এবং বিডব্লিউআর নামে কাঁচা পাটের রফতানি বন্ধ করা হয়েছে। অন্যান্য কাঁচা পাট রফতানি যথারীতি অব্যাহত থাকবে।
রাসায়নিক সার ও চিনি গুদামজাতকরণ, পরিবহন, সরবরাহ ও বিপণন ব্যবস্থায় বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) কর্তৃক যে সংখ্যক পলিথিন লাইনারসহ মান-সম্পন্ন পাটের ব্যাগ সরবরাহ করা সম্ভব হবে তা ব্যবহার আবশ্যিক রেখে অতিরিক্ত সংখ্যক ব্যাগ ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ এর ৪ ধারা অনুযায়ী সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
সভায়, পাট শিল্প উন্নয়ন তহবিল, পাটের বীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার লক্ষ্যে বিনামূল্যে কৃষকদের পাটের বীজ সরবরাহ, পাট শিল্প যেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রিন ফান্ডের বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল ব্যবহার, এফএসএসপি ফান্ড থেকে ঋণ নেয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৃহস্পতিবার বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপির সভাপতিত্বে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে পাটবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব মো. আশরাফ আলী, অতিরিক্ত সচিব গোপাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য, বিজেএমসি চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান, পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. শামসুল আলম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিজিএমএ, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রতিনিধিসহ স্টোকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর