২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৬:২১

সউদী আরবের সবচয়ে ধনী ব্যক্তিটির সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

লন্ডন ভিত্তিক নিউজ সাইট আল-আরাবি আল-জাদিদ জানায়, শাহজাদা আলওয়ালিদ বিন তালাল দু’মাসেরও বেশি সময় আগে দুর্নীতি দমন অভিযানে প্রথম গ্রেফতার হন ও তাকে আটক রাখা হয়। এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে বিষয়টি অধিক গুরুতর রূপ ধারণ করে যখন আলওয়ালিদকে রিজ কার্লটন হোটেলে তার কোয়ার্টার থেকে সরিয়ে নিয়ে আল হাইর কারাগারে পাঠানো হয়। আল হাইর ঠিক বাস্তিল কারাগার নয়, কিন্তু আলওয়ালিদকে অনেক বেশি বিচ্ছিন্ন ও নিরাপদ স্থানে পাঠানোর বিষয়টি অশুভ। দু’মাসেরও বেশি সময় আল ওয়ালিদ রিয়াদে রিজ হোটেলে আরো শাহজাদা ও পদস্থ কর্মর্কতাসহ ২শ’ জনের সাথে আটক ছিলেন। এ সংখ্যা এখন কয়েকজনে এসে ঠেকেছে। অধিকাংশ সাবেক আটক ব্যক্তিই সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে অর্থ দিয়ে ও বিভিন্ন ধরনের শর্তে আত্মসমর্পণ করে তাদের মুক্তি কিনেছেন।
কিন্তু বিন তালালকে ধরে রাখা হয়েছে। জানা যায়, বিন সালমান তার ও তার নিয়ন্ত্রণাধীন কিছু বিনিয়োগ কোম্পানি থেকে ৬শ’ কোটি ডলার দাবি করেছেন। গত গ্রীষ্মে বাদশাহ সালমান তার উত্তরাধিকারে নজিরবিহীন পরিবর্তন ঘটান ও মোহাম্মদ বিন সালমানকে যুবরাজ ঘোষণা করেন। তখন থেকে তিনি ইরানের বিরুদ্ধে সউদী সামরিক প্রতিরক্ষা জোরদার, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করা, এমনকি ইসরাইলের সাথেও সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। শরতে তিনি দেশের সেমিটিক বিরোধী ও মার্কিন বিরোধী আলেমদের বিরুদ্ধে দমনাভিযান চালান। নভেম্বরে বিন সালমানের অর্থনৈতিক সংস্কারের কর্মসূচি ২শ’ শাহজাদা ও কর্মকর্তাদের গ্রেফতারে রূপ নেয় যারা তার ক্ষমতা দখলের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দী ছিলেন। এটা এ নয় যে যুবরাজের বহু লক্ষ্যই বিচক্ষণতার পরিচায়ক নয় বা প্রশংসনীয় নয়। তবে মানবাধিকারকে ঠেলে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ সপ্তহের আরেকটি ঘটনা হচ্ছে সউদী সরকারের তাৎক্ষণিক ভাবে বিন লাদেন গ্রুপ বৃহৎ নির্মাণ কোম্পানি জব্দ। রয়টারসের খবরে বলা হয়, সরকার এর ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে এবং এ কোম্পানির কাছে সরকারের ৩০ বিলিয়ন ডলার ঋণ সরকার অবলুপ্ত করতে পারে। বিন লাদেন কোম্পানির নেতৃস্থানীয় সদস্যদের আটক করা হয়েছে। একটি বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে বিন তালালের গ্রেফতারের ব্যাপারে তার প্রভাবশালী বন্ধুদের দীর্ঘ তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের নীরবতা। এ সপ্তাহে তার দুর্দশার কিছু উল্লেখ দেখা গেছে সাবেক দু’ ফরাসি প্রেসিডেন্টের বিবৃতিতে। তারা আলওয়ালিদের অবস্থা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তা অতি সামান্য।
এখন আলওয়ালিদ কারাগারে আছেন। সরকার আগ্রাসীভাবে তার অর্থ নিচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত তার বিদেশী বন্ধুদের কাছ থেকে কোনো কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে না। এটা সম্পর্কহীন মনে হতে পারে, তবে বিন সালমান একজন ধনাঢ্য ক্রেতা। তার ক্রয়কৃত সম্পদের মধ্যে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মূল্যের শিল্পকর্ম, একটি ইয়ট ও একটি ফরাসি শ্যাতো।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :জানুয়ারি ১৫, ২০১৮ ১:৩৭ অপরাহ্ণ