নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ফোর-জি এলটিই সেলুলার মোবাইল ফোন সার্ভিসের লাইসেন্সের জন্য প্রস্তাব আহ্বান করে দেওয়া বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতায় আইনগত কোনো বাধা নেই। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এ তথ্য জানান আইনজীবীরা।
গত বৃহস্পতিবার ওই বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছিলেন চেম্বার বিচারপতি। বিষয়টি শুনানির জন্য আজকের আপিল বেঞ্চে ছিল। দায়িত্ব পালনরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিয়ার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ আজ চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন। যার ফলে ওই বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রমে আইনি কোনো বাধা থাকলো না বলে জানান আইনজীবীরা।
রিট আবেদনকারী বাংলা লায়ন কমিউনিকেশনসের পক্ষের আজ আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকোনউদ্দিন মাহমুদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বাংলা লায়নের আরেক আইনজীবী মাহবুব আলী এসব তথ্য জানান।
বিটিআরসি গত ৪ ডিসেম্বর ফোর-জি এলটিই সেলুলার মোবাইল ফোন সেবার অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দেয়। সে অনুসারে আজ ১৪ জানুয়ারি প্রস্তাব জমা দেওয়ার দিন নির্ধারিত আছে। ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলা লায়ন কমিউনিকেশনস লিমিটেড গত বুধবার হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করে।
২০০৮ সালে বিটিআরসির এক নীতিমালার দুটি নীতির পরিপন্থী ওই বিজ্ঞপ্তিটি বলে অভিযোগ করা হয় রিট আবেদনে। কারণ ২০০৮ সালের নীতিমালার ৪.০২ নীতি অনুসারে তিনজনের বেশি এ লাইসেন্স (বিডব্লিউএ, ফোর-জি) দেওয়া যাবে না। সরকারকে একটি দেওয়া যাবে। ৪.৬ (৩) নীতি অনুসারে মোবাইল ফোন অপারেটররা এ জন্য যোগ্য হবে না। ২০০৮ সালের ওয়ারলেস ব্রডব্যান্ড নীতিমালার ওই দুই নীতি উপেক্ষা করেই ফোর-জি লাইসেন্সের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ