নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথেই ঢাকাসহ জেলা পর্যায়ে বাড়ছে ঘন ঘন লোডশেডিং। এবার রমজানে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের কোনো প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না। অথচ কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে মাহে রমজান। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না। ফলে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ পাওয়া না গেলে আগামীতে লোডশেডিং আরও বাড়বে। এতে বাড়বে মানুষের দুর্ভোগও।
জানা গেছে, ২১ মে রোববার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৭ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। এ সময় সারা দেশে চাহিদা ছিল ৯ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। এতে সরকারি হিসাবেই ঘাটতি দাঁড়ায় ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। বেসরকারি হিসাবে এ ঘাটতি ১৫০০ থেকে ১৭০০ মেগাওয়াট। এ কারণে দেশব্যাপী চরম লোডশেডিং করতে হচ্ছে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোকে। সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং করেছে আরইবি (পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড)।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক সাইফুল হাসান চৌধুরী জানান, রমজানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ১০ হাজার মেগাওয়াট করার টার্গেট আছে সরকারের। এ কারণে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র মেরামতের জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এছাড়া তিনি আশা করছেন রমজানের আগেই লোডশেডিং শূন্য পর্যায়ে চলে আসবে। তার মতে, অতিরিক্ত গরমের কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কিছু কিছু এলাকায় বর্তমানে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস জানান, বর্তমানে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ২১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড আছে। রমজানে এটা বাড়িয়ে ১০ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করা হবে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শুরু করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। পাশাপাশি উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছানোর জন্য সঞ্চালন লাইনেরও সংস্কার করা হচ্ছে।
এ অবস্থায় রমজানে ইফতার-তারাবি ও সেহেরির সময় লোডশেডিং থাকবে না। লোডশেডিং করতে হলে আগে থেকেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এবারের পুরো রমজানজুড়ে গরম থাকবে। এতে সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর যে অবস্থা তাতে রমজানে সরকারের টার্গেট অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ১০ হাজার মেগাওয়াট করা সম্ভব হবে না।
এতে রোজাদারদের ভোগান্তির মুখে পড়তে হবে। ইফতারি, তারাবি ও সেহেরির সময় চাহিদা বেড়ে গেলে গ্রামের লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করবে। ডিপিডিসি ও ডেসকোকে ঢাকায়ও বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিং করতে হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এমএইচ