নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা হয়ে ঢাকা-কলকাতা সরাসরি বাস চলাচল শুরু হয়েছে। সোমবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর কমলাপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনালে এ বাস সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।
গ্রিনলাইন পরিবহন ও বিআরটিসির যৌথ উদ্যোগে একদিন পরপর বাসটি ঢাকা-কলকাতার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। খুলনা থেকেও বাসটি যাত্রী তুলে নেবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিআরটিসি চেয়ারম্যান বলেন, নতুন এ সার্ভিসের মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও বাড়বে। ঢাকা থেকে ১০ ঘণ্টায় বাসে করে কলকাতা যাওয়া যাবে। মাওয়া হয়ে এটাই প্রথম কলকাতার সঙ্গে চালু হওয়া বাস সার্ভিস। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে এটি চললে খুব কম সময়ে যাতায়াত করা যাবে। যার অপারেটর হিসেবে রয়েছে গ্রিনলাইন পরিবহন।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, বাসটি ঢাকা থেকে মাওয়া ফেরি পার হয়ে যাবে মাত্র আড়াই ঘণ্টায়। আর রাজধানী থেকে আট ঘণ্টা লাগবে খুলনা সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছাতে। আরও দুই ঘণ্টায় সরাসরি কলকাতা।
মূল সুবিধাটা হলো, ঢাকা থেকে যে বাসে রওনা হবেন; যাত্রী সেই একই বাসে কলকাতা নামবেন। যাত্রাপথে কোনো বাস পরিবর্তন করতে হবে না। খুলনায় বাসের কাউন্টার থেকেও যাত্রী উঠতে পারবেন।
প্রতি সোম, বুধ ও শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় কমলাপুর বিআরটিসি টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাবে বাস। আর কলকাতার সল্টলেক করুণাময়ী আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল থেকে প্রতি মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার সকাল সাড় ৭টায় ঢাকার উদ্দেশে ছাড়বে। রাত ৮টার দিকে বাসটি ঢাকায় এসে পৌঁছাবে।
গ্রিনলাইন পরিহনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) মো. আলাউদ্দিন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এস এম এলাহী, বিআরসির ডিজিএম রফিকুল ইসলাম, গ্রিনলাইনের জেনারেল ম্যানেজার আব্দুস সাত্তার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯৮ সালে প্রথম কলকাতা-ঢাকার মধ্যে যাত্রীবাহী বাস চলাচলের শুরু। আর ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল মৈত্রী ট্রেনের মাধ্যমে চালু হয় বাংলাদেশ-ভারত রেল যোগাযোগ। এরপর ২০১৫ সালে কলকাতা-ঢাকা-আগরতলার মধ্যে চালু করা হয় যাত্রীবাহী বাস চলাচল। আর গত ৮ এপ্রিল খুলনা-কলকাতা রুটে আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন ও বাস সার্ভিস শুরু হয়েছে। এবারে শুরু হলো ঢাকা-খুলনা-কলকাতা যাত্রীবাহী বাস।
দৈনিক দেশজনতা/এমএইচ