নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফোরজি মোবাইল ফোন সেবার লাইসেন্স এবং তরঙ্গ নিলামের জন্য আবেদন আহ্বান করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসির করা বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে, বিজ্ঞপ্তির নোটিশ এবং ২০০৮ সালের নীতিমালা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
বাংলা লায়নের রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
অপারেটরদের আপত্তির মুখেই ফোর-জি লাইসেন্স আবেদন ও তরঙ্গ নিলামের সময়সূচি ঘোষণা করেছিল বিটিআরসি।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, তার সঙ্গে ছিলেন রমজান আলী সিকদার।অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেছিল বাংলালায়ন কমিউনিকেশন্স লিমিটেড।
আদেশের পর আবেদনকারীর এক আইনজীবী বলেন, সেলুলার মোবাইল ফোন সার্ভিসেস, এটা করে যে নীতিমালা আহ্বান করেছিল, নোটিশ যেটা দেয়া হয়েছিল, ২০০৮ সালের ব্রডব্যান্ড গাইডলাইন্সের সাথে সাংঘর্ষিক। এ কারণে স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর বিশেষ কমিশন সভায় দুই গাইডলাইন প্রকাশ ও আবেদন আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। ওইদিন বিটিআরসির ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন গ্রহণের পর ২৫ জানুয়ারি যোগ্য আবেদনকারীর তালিকা প্রকাশ করবে বিটিআরসি। ২৯ জানুয়ারি নিলামের আলোচনা, ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিড আর্নেস্ট মানি প্রদান, ৭ ফেব্রুয়ারি নিলামের চিঠি প্রদান, ১২ ফেব্রুয়ারি মক নিলাম, ১৩ ফেব্রুয়ারি নিলাম এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
গত বছরের ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দুই গাইডলাইনের অনুমোদন দেন। ওই দিন সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, মোবাইল ফোন অপারেটরদের আপত্তিগুলো নিষ্পত্তি করে ফোরজি লাইসেন্সিং গাইডলাইন এবং তরঙ্গ নিলাম গাইডলাইন প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ