আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর ওপর চালানো বর্বরোচিত নির্যাতনে সম্পৃক্ততার কথা অবশেষে স্বীকার করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে রাখাইনে একটি রোহিঙ্গা গণকবরের সন্ধান পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
বুধবার দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং লেইংয়ের কার্যালয় থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।
ওই পোস্টে জানানো হয়, গেল বছরের ২ সেপ্টেম্বর ১০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে সমাধিক্ষেত্রে নিয়ে হত্যার সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা ছিল। খবর এএফপি’র।
পোস্টে বলা হয়, কয়েকজন গ্রামবাসী এবং সেনাসদস্য স্বীকার করেছেন, তারা ওই দিন ১০ জন বাঙালি সন্ত্রাসীকে (রোহিঙ্গা মুসলমান) হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সেনা নির্যাতনের মুখে গেল বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইন ছেড়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা সাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। এর পর জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা সহিংসতার জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে দায়ী করলেও সেনা কর্তৃপক্ষ বারবারই তা অস্বীকার করছিল।
আগে থেকেই বাংলাদেশে লাখ পাঁচেকের মতো রোহিঙ্গার বাস ছিল। এবার সে সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এত বিশাল সংখ্যক বাস্তুহারা জনগোষ্ঠীকে ভরন-পোষণ করাও বাংলাদেশের মতো স্বল্প পুঁজির দেশের পক্ষে ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। রোহিঙ্গাদের ফেরতের ব্যাপারে ইতোমধ্যে দুদেশের মধ্যে চুক্তি কিংবা সমঝোতার কথা গণমাধ্যমের খবরে আসলেও তার যথাযথ কোনও কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

