বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক :
ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ব্লকচেইন ডাটা নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশের জন্য গৌরবের বিষয়। এটি নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশের জন্য অন্যতম এক অর্জন। কারণ বাংলাদেশ ব্লকচেইন নিয়ে কাজ করতে পারে এটা এক সময় কল্পনাই করা যেত না।
বুধবার কারওয়ানবাজারের বেসিস মিলনায়তনে ‘বৈশ্বিক অর্থায়ন ব্যবস্থায় ব্লকচেইন-বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। দেশের শীর্ষ আইটি প্রতিষ্ঠান ইজেনারেশন লিমিটেড এই আলোচনার আয়োজন করে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ অত্যন্ত লক্ষ্যনীয়। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে যারা কাজ করছে তারা কিন্তু প্রযুক্তিতে মহাপন্ডিত নয়। ইচ্ছা শক্তি ও প্রযুক্তি ব্যবহারই তাদের এগিয়ে দিয়েছে। তবে দুর্ভাগ্য যে শিক্ষা ব্যবস্থা এখনো বদলানো যায়নি।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তি খ্যাতে একটি সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়েছে। তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো যতক্ষণ পর্যন্ত তথ্য প্রযুক্তিকে সাধারণ জনগনের কাছে পৌঁছাতে না পারি, জনগণ যদি সেই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে না পারে; তাহলে এই সম্ভাবনা কোনো কাজে আসবে না।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ইজেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান বলেন, গণমাধ্যমে ইন্টারনেট যেমন ভূমিকা রাখে, ব্যাংকিং খাতে ব্লকচেইনও তেমনি ভূমিকা রাখবে। স্বাস্থ্যসেবা, ব্যাংকিং, রিয়েল স্টেট ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিবর্তন নিয়ে এসেছে এই প্রযুক্তি।
আয়োজকরা জানান, ব্লকচেইন হল তথ্য সংরক্ষণ করার একটি নিরাপদ এবং উন্মুক্ত পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে তথ্যগুলো বিভিন্ন ব্লকে একটির পর একটি চেইন আকারে সংরক্ষণ করা হয় এবং এতে তথ্যের মালিকানা সংরক্ষিত থাকে। এই পদ্ধতিতে তথ্য সংরক্ষণ করলে কোন একটি ব্লকের তথ্য পরিবর্তন করতে চাইলে সেই চেইনে থাকা প্রতিটি ব্লকে পরিবর্তন আনতে হবে, যা প্রায় অসম্ভব। তাই এই পদ্ধতিতে তথ্য সংরক্ষণ করাটা অনেক বেশি নিরাপদ।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর