নিজস্ব প্রতিবেদক:
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ‘মিথ্যা সাক্ষ্য’ উপস্থিত করার অভিযোগে তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদসহ ৩০ সাক্ষীর শাস্তি চেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বুধবার রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ বিশেষ জজ আদালতের ড. আখতারুজ্জামানের কাছে খালেদা জিয়ার পক্ষে এ আবেদন জানান তাঁর প্রধান আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। দণ্ডবিধির ১৯৩, ১৯৫, ১৯৬, ৪৬৬, ৪৬৯, ৪৭১ এবং ১০৯ ধারা উল্লেখ করে এই শাস্তির আবেদন করা হয়।
আদালতে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী, বাংলাদেশের গণমানুষের জনপ্রিয় নেত্রী। ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য এবং তাঁর জনপ্রিয়তাকে নস্যাৎ করার জন্য এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
মোট ১১টি যুক্তি উপস্থাপন করে এই ৩০ জনকে শাস্তি দেওয়ার আবেদন করেন আইনজীবী। এর আগে আজ বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে খালেদা জিয়া রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে পৌঁছান। এর পরই বিচারক বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান মামলার কার্যক্রম শুরু করেন।
নবম দিনের মতো এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শুরুতেই খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের দেরিতে মামলার শুনানিতে আসায় আদালত ভৎসনা করেন। এ সময় তাঁর আইনজীবীরা আদালতে হৈচৈ করেন। পরে আদালত আজকের মধ্যে খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষ করার জন্য তাঁর আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীকে নির্দেশ দেন আদালত। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় অপর একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ