২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৯:৪০

খালেদা জিয়াকে হয়রানী করতেই ১৪ মামলা স্থানান্তর: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে নিজেদের মামলাগুলো জাদুর কাঠির ইশারায় প্রত্যাহার হয়ে যায়। আর বিএনপি চেয়ারপারসনসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা জাল ও ভুয়া নথি তৈরী করে মিথ্যা মামলাগুলো চলে সুপারসনিক গতিতে। বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আবারও একতরফা করতে যে যড়যন্ত্র ও অপচেষ্টা চলছে এটিও তার অংশ। আওয়ামী দুঃশাসনে অশান্তির আগুনে ভিতরে ভিতরে মানুষ দগ্ধ হচ্ছে। আওয়ামী সরকার বর্তমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের পথে না গিয়ে চক্রান্তের হদিস করে বেড়াচ্ছে। ক্ষমতার মোহে অন্ধের মতো এরা এখন সুপথের সন্ধান পাচ্ছে না। তাই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সনকে নিয়ে চক্রান্তে মেতে উঠেছে। আমি সুস্পষ্টভাবে বলছি-নিজেদের বোনা চক্রান্তজালে নিজেরাই আটকা পড়বেন। জনগণই রাজপথে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানীমূলক ১৪টি মামলা রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিশেষ এজলাসে স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় বসেন তাঁর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা বিচারাধীন ছিল। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণসহ হাজার হাজার মামলা চলমান ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে করা ১/১১ এর অবৈধ সরকারের করা কয়েকটি মামলা ছিল অভিন্ন। অথচ তারা ক্ষমতায় বসার পর প্রধানমন্ত্রীর মামলাসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হাজার হাজার মামলা প্রত্যাহার হয়েছে।
রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলায় এমনিতে সপ্তাহে কয়েকদিন আদালতে হাজিরা দিতে হয়। নতুন মামলাগুলো বকশিবাজারে স্থানান্তরের উদ্দেশ্য হলো-বেগম জিয়াকে প্রতিনিয়ত হয়রানীর মধ্যে রাখা এবং অবিরামভাবে হেনস্তা করা। বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কর্মকা-ে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগের নীলনকশা অনুযায়ী ১৪ মামলা স্থানান্তর করা হয়েছে। সোমবার আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। যা প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে বিচার কাজ পরিচালনা করার গভীর ষড়যন্ত্র। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আরও বেশি হয়রানী করতেই সরকারের আর একটি নির্মম পদক্ষেপ। এই কারণেই সরকার এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :জানুয়ারি ১০, ২০১৮ ২:৫৪ অপরাহ্ণ