আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে একদিকে বোম্ব সাইক্লোনের কারণে প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কবলে রয়েছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের মানুষ পুড়ছে প্রচণ্ড তাপদাহে। জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে প্রকৃতির এমন আচরণ এখন ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বুধবার এক প্রতিবেদনে জানায়, গত ক’দিনে রেকর্ড পরিমাণ গরমের অভিজ্ঞতা লাভ করছে অস্ট্রেলিয়ার মানুষ। দেশটির আবহাওয়া দপ্তরের হিসেবে সেখানে সর্বোচ্চ ৪৭ দশমিক ৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অবশ্য গেল রোববার দেশটির বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, গত ৮০ বছরে এমন তাপমাত্রা অস্ট্রেলিয়ায় পড়েনি। গত বছরও অস্ট্রেলিয়ায় এমন গরম পড়েছিল। তবে ১৯৬১ থেকে ৯০ সালের পর সর্বোচ্চ তাপমাত্রার যে রেকর্ড ছিল এই নিয়ে তা তৃতীয়বারের মতো অতিক্রম করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, এর আগে ২০০৫ এবং ২০১৩ সালে রেকর্ড পরিমাণ গরম পড়েছিল মহাদেশটিতে। গত বছরের নভেম্বরেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অস্ট্রেলিয়ায় রেকর্ড করা হয়। যদিও ওই বছরটিতে পুরো বিশ্বই সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত ছিল বলে আবহাওয়াবিদেরা বলছেন।
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় যে অবস্থা চলছে তার পেছনে এল নিনো’র পরিবর্তনের প্রভাবকে দায়ি করছেন আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ বিভাগের প্রধান ড. কার্ল ব্রাগানজা। বুধবারই এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে সামনের দিনগুলো আরও খারাপ হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৫ সাল থেকে ১১ সাল পর্যন্ত অন্তত পক্ষে ১০ বার তাপমাত্রায় অস্বাভাবিকতা দেখা গেছে। ক্রমেই সেই পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই যাচ্ছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে অস্ট্রেলিয়ার প্রবাল প্রাচীর দি গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ’ও ক্ষতির মুখে পড়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে রাজ্যের উপকূল ঘেঁষা কোরাল সাগরে অবস্থিত পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল প্রাচীর এটি। মহাকাশ থেকে পৃথিবীর যে ক’টি বস্তু দেখা যায়, তার মধ্যে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অন্যতম। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, পৃথিবীর জলবায়ুর জন্য ক্ষতিকর কার্বন গ্যাসের নি:সরণ অবিলম্বে বন্ধ না করলে আসছে দিনগুলো কল্পনার চেয়েও বেশি খারাপ হতে পারে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ