নিজস্ব প্রতিবেদক:
জঙ্গিবাদের মতো মাদকের বিরুদ্ধেও কঠোর হতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ নির্মূলে পুলিশবাহিনী দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। তবে এ কাজে জনগণকেও সম্পৃক্ত করতে হবে। জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। তবে আমরা এদেশে তা দমন ও নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি, এজন্য পুলিশ বাহিনীকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
শেখ হাসিনা বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সম্মিলিত ও পরিকল্পিতভাবে তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অনেক কাজ করে। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য পায়। তবে তথ্য পেয়েই একা কাজ করা যায় না। তথ্য আদান-প্রদান করে কাজ করলে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়। তাই কোনো তথ্য পাওয়ার পর সংশ্লিষ্টদের জানানো উচিত।
গুলশান হামলার উদাহারণ টেনে তিনি বলেন, ওইদিন রোজার সময় ছিল। ভোরে সবাইকে নিয়ে আমরা বৈঠক করেছিলাম। পরে বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করে অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ফলে পরিকল্পিতভাবে সফলতার সঙ্গে ওই অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়েছিল।
পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ সদস্য যেভাবে নিয়োগ করা হয়, সেভাবে অফিসারও নিয়োগ করা হবে। না হলে লিডারশিপ আসবে কোথা থেকে। পুলিশ বাহিনীকে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে জনগণকে সহায়তা করতে হবে।
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনও রাজনৈতিক দল কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষ পুড়িয়ে মারতে পারে না। মানুষ পুড়িয়ে মারা কোন ধরনের রাজনীতি, তা আমি জানি না। আমি ৫০ বছর ধরে রাজনীতি করি। এই রাজনীতি কখনও গ্রহণযোগ্য না।
তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে সারাদেশে জ্বালাও-পোড়াওয়ের যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল, তা থেকে উত্তরণ কঠিন ছিল। কিন্তু পুলিশ সেই কাজটি দক্ষতার সঙ্গে করতে পেরেছে। যারা মানুষ পোড়ার রাজনীতি করে তারা যেন কোনো রকম জান মালের ক্ষতি না করতে পারে তার জন্য পুলিশ বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ