আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অবশেষে দুই বছর পর উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে মুখোমুখি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত এলাকার যুদ্ধবিরতি গ্রাম পানজামুনে একটি তিনতলা ভবনে দুই পক্ষের পাঁচজন করে প্রতিনিধি দলের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়। সিউলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাংয়ে হতে যাওয়া শীতকালীন অলিম্পিকে অংশগ্রহণের জন্য উত্তর কোরিয়া তাদের প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা বলেছে। এই প্রতিনিধি দলের মধ্যে অ্যাথলেট, সমর্থক ও অন্যরা থাকবে।
শীতকালীন অলিম্পিকে কোরিয়া যুদ্ধের সময়ে পৃথক হয়ে যাওয়া পরিবারগুলো মধ্যে পুনর্মিলনীরও প্রস্তাব দেয়া হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে। এই বিষয়টি দুই দেশের জন্যই অনেক বেদনাদায়ক। তাই দক্ষিণ কোরিয়া সবসময়ই ঘন ঘন পুনর্মিলনী আয়োজনের জন্য উত্তর কোরিয়াকে চাপ দিয়ে আসছে।
লুনার নিউ ইয়ারের ছুটিতে এই পুনর্মিলনীর আয়োজন হতে পারে। পিয়ংচ্যাংয়ে অলিম্পিক চলাকালীন মাঝামাঝি সময়ে লুনার নিউ ইয়ারের ছুটি শুরু হবে। অলিম্পিকের উদ্বোধনী দিনে দুই কোরিয়ার অ্যাথলেটদের একসঙ্গে মাঠে প্রদক্ষিণ করার প্রস্তাবও উত্তর কোরিয়া দিয়েছে। তবে উত্তর কোরিয়া এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ দুই কোরিয়ার মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পিয়ংইয়ংয়ের ছোড়া রকেট ও পারমাণবিক পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় সিউল কেয়াসং শিল্প এলাকার একটি যৌথ অর্থনৈতিক প্রকল্প বাতিল করার পর দুই কোরিয়ার সম্পর্কে অবনতি ঘটে। এর পরপরই উত্তর কোরিয়া দক্ষিণের সঙ্গে টেলিফোনসহ সব ধরণের যোগযোগ বন্ধ করে দেয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও চাপ উপেক্ষা করে পিয়ংইয়ংয়ের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ও পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েও দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছিল।
শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়ার অংশগ্রহণে দেশটির শীর্ষনেতা কিম জং উনের আগ্রহের পর তা কমে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিমের ভাষণের পর দুই কোরিয়ার মধ্যে টেলিফোন হটলাইন ফের চালু হয়। এরপর দক্ষিণের আলোচনার প্রস্তাবে পিয়ংইয়ংয়ের সাড়া আসে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ