নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভ্রাম্যমাণ আদালত চলবে কি না এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) চলতে আইনগত কোনো বাধা নেই। প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার সকালে এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।ডেপুটি অ্যাটর্নি জেলারেল মোতাহার হোসেন সাজু আদালত থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে আবাসন কোম্পানি এসথেটিক প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খানকে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২০ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান।
এরপর ১১ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন (মোবাইল কোর্ট অ্যাক্ট, ২০০৯) এর কয়েকটি ধারা ও উপধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন তিনি।
রিটের শুনানি নিয়ে একই বছর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আদালতের জারি করা রুলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ৫ ধারা এবং ৬(১), ৬(২), ৬(৪), ৭, ৮(১), ৯, ১০, ১১, ১৩, ১৫ ধারা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে এ ধরনের আরও দুটি রিট করা হয়। তিন রিটে মোট ১৯ আবেদনকারীর শুনানি শেষে গত ১১ মে রায় ঘোষণা করা হয়।
ওইদিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনা সংক্রান্ত ২০০৯ সালের আইনের ১১টি ধারা ও উপধারাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই আইনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাও অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
গত ১৪ মে এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষ। ওইদিন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত ১৮ মে পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে ২১ মে আপিল বিভাগ এ স্থগিতাদেশ আরও বাড়ান। পরবর্তীতে আরও কয়েক দফা বাড়ানো হয়।
এরপর গত ২১ মে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বার বার স্থগিত রাখেন সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগ।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ