নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভারতীয় পেট্রাপোলে সিএন্ডএফ এজেন্ট ও কাস্টমসের মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সোমবার সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও নানা হয়রানির প্রতিবাদে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেয় ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্ট সিএন্ডএফ এজেন্ট ও বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকার ফলে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় পচনশীল পণ্যসহ শত শত পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকে আছে ভারতীয় পেট্রাপোল বন্দর এলাকায়। অন্যদিকে রফতানি পণ্য নিয়ে বাংলাদেশি ট্রাকও দাঁড়িয়ে আছে বেনাপোল চেকপোস্টসহ আশপাশের এলাকায়। বাংলাদেশের সিংহভাগ শিল্প কলকারখানা ও গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির ৯০ ভাগই কাঁচামাল বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি হয়ে থাকে।
বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্ট সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, বর্তমানে ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাদের রেট বাড়িয়ে দিয়েছে। সেই সাথে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে। এছাড়াও কাস্টমসের ইন্টারনেট লিংক খারাপ থাকার কারণে প্রায় আমদানি-রফতানি করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শত শত ট্রাক রফতানির জন্য আটকে থাকছে পেট্রাপোল বন্দরে। তিনি বলেন, বার বার কর্তৃপক্ষকে বলার পরও কোনো সমাধান হচ্ছে না। এ কারণে আমরা কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। এসব সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয়।
বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, ওপারে বিরোধকে কেন্দ্র করে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভারতীয় সিএন্ডএফ এজেন্ট এর কর্মচারীরা দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে কোন পণ্য আমদানি-রফতানি হয়নি। বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম জানান, ওপারের আমদানি-রফতানি বন্ধে আমাদের বন্দর ও কাস্টমসে কোনো প্রভাব পড়েনি। বন্দর থেকে পণ্য লোড-আনলোড স্বাভাবিক রয়েছে। কাস্টমস হাউজেও কাজ চলছে স্বাভাবিকভাবে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ