নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘দুদকের স্পষ্ট কথা হচ্ছে যারা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে চায়, তারা যেন তাদের সম্পদের সঠিক হিসাব নির্বাচন কমিশনের কাছে দেয়। ইতোমধ্যে আমরা দু-একজন এমপির বিরুদ্ধে কমিশনের কাছে লিখেছি যে, তাদের সম্পদের হিসাব সঠিক নয়। এজন্য বলবো যারা জনগণের প্রতিনিধি হতে চান, তারা যেন সম্পদের সঠিক হিসাব নির্বাচন কমিশনের কাছে দেয়। কারণ জনগণও তাদের সম্পদের হিসাব জানতে চায়।’
সোমবার দুপুরে ২০১৮ সালে দুদকের পরিকল্পনা নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। যদি কেউ এমপি হয়ে যায় দুদক তার তথ্য চায় না। আর বিরোধী দলে গেলে তার সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়- দুদকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের কথা বলে হলে তিনি বলেন, ‘কথাটি মোটেই সত্য নয়, সরকারের কয়েকজন এমপির বিরুদ্ধেও দুদক কাজ করে যাচ্ছে।’
ব্যাংকিং খাতে কেলেঙ্কারির বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতে কেলেঙ্কারি বাড়ছে না বরং কমছে। ব্যাংকিং খাতে সুশাসন শুরু হয়েছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। কারণ হচ্ছে ব্যাংকিং খাতে গ্রোথ বাড়ছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সরকারকে বলেছিলাম বড় বড় প্রজেক্টগুলোতে শুরুতে যে দুর্নীতির সৃষ্টি হয়, তা রোধে দুদক সরকারকে সহযোগিতা করতে চায়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ও বলেছিল আমাদের সাহায্যের কথা। এটা একটা নতুন কনসেপ্ট দুর্নীতি শুরুর আগেই বন্ধ করা। কিন্তু সরকারের দিক থেকে তেমন কোনো রেসপন্স পাইনি।’
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ