নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার অন্যতম প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনী পুলিশ। গেলো কয়েক বছরে পুলিশে যোগ হয়েছে বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিট। বেড়েছে জনবলও, কিন্তু কমেছে সেবার মান। জনগণের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে ফারাক থাকার কথা স্বীকার করছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে তাদের দাবি কল্যাণমূলক পুলিশিংয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তারা। এদিকে বিশ্লেষকদের মতে, কিছু ক্ষেত্রে পুলিশের সফলতা আছে তবে নানা কারণে প্রত্যাশা মতো দক্ষ পুলিশ বাহিনী গড়ে উঠেনি।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় ভূমিকার উত্তরাধিকারের নিয়ে অপর্যাপ্ত জনবল আর সরঞ্জামসহ যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। আর স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম পুলিশ সপ্তাহ হয় ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে। এরপর কেটেছে চারদশকের বেশি সময়।
১৮৬১ সালের পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল- পিআরবিকে ভিত্তি করেই চলছে এই বাহিনী। তবে গেলো কয়েক বছরে, জঙ্গিবাদ দমন, শিল্প কারখানার নিরাপত্তা, চাঞ্চল্যকর মামলা তদন্ত, বিশেষ নিরাপত্তাসহ বেশকটি বিশেষায়িত ইউনিট যোগ হয়েছে বাহিনীতে। দেশজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে মডেল থানাও। নারীদের জন্য খোলা হয়েছে আলাদা হেল্প ডেস্ক। কিন্তু সেবার মান বেড়েছে কতোটা? প্রশ্ন ছিলো পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, জনগণের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্য এখনো ব্যবধান রয়েছে। তবে আমরা আশা করি, ক্রমান্বয়ে এভাবে এগিয়ে গেলেই আস্তে আস্তে এই ব্যবধান খুঁচবে। অপরাধ বিজ্ঞানী শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, সেবার জায়গাটা ধরলে আমরা খুব বেশি সন্তোষজনক উত্তর পাই না। বাংলাদেশের পুলিশকে যতটুকু গণমুখী বা গণবান্ধব করার কথা ছিলো সেটা আমরা পাইনি।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল অব. এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের সাফল্য থাকলেও মামলার তদন্ত কিংবা আসামি গ্রেফতারে তেমনটা দেখা যায়নি। তবে পুলিশের প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হলে সেবার মান জবাবদিহিতা দুটোই নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ