নিজস্ব প্রতিবেদক:
এবার বিশ্ব ইজতেমার পুরো ময়দানকে আট স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলবে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। মুসল্লিদের নিরাপত্তায় থাকবে পুলিশের ৭ হাজার সদস্য এবং র্যাবের ২৫০ সদস্য। রবিবার দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী আঞ্চলিক কার্যালয় প্রাঙ্গনে বিশ্ব ইজতেমার সর্বশেষ প্রস্তুতিমূলক পর্যালোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাশেল শেখ জানান, বিশ্ব ইজতেমা আগত মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ৮ স্তরে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে পোশাকে, সাদা পোশাকে, ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে, সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে, চেকপোস্টের মাধ্যমে, মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে, নৌ টহল ও ভিডিও ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করা হবে। এ বার গতবারের চেয়ে প্রায় দেড় হাজার পুলিশ সদস্য ও ৫টি ওয়াচ টাওয়ার বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ৫০০ পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়া ৪১টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ময়দানের প্রতিটি খিত্তায় ৬ জন করে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।
এদিকে বিশ্ব ইজতেমার মাঠসহ আনুসাঙ্গিক কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন ইজতেমার আয়োজক কমিটির মুরব্বি প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন আমেদ।
স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এম বজলুল করিম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দীন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম রাহাতুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান, বিশ্ব ইজতেমার মুরব্বী ইঞ্জিনিয়ার মেজবাহ উদ্দীন, ড. রফিকুল ইসলাম, মো. গিয়াস উদ্দীন আহমেদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, এবারো বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমপর্ব শুরু হবে আগামী ১২ জানুয়ারি। ১৪ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথমপর্ব শেষ হবে। চার দিন পর ১৯ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয়পর্ব। একইভাবে ২১ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয়পর্ব তথা এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর