অনলাইন ডেস্ক:
চোখের জলে প্রিয় অপরাজেয় বাংলার ভাস্কর সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদকে শেষ বিদায় জানাল সর্বস্তরের জনতা। বেলা ১২ টায় নিজ হাতে গড়া ভাস্কর্যটির পাদদেশেই এই শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আবদুল্লাহ খালিদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। সেখানে তাকে সমাহিত করা হয়।
সৈয়দ খালিদ হাপানিসহ বার্ধক্যজনিত রোগে গত ২ মে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হন। শারীরিক অবস্থার অবনতির ঘটলে গত বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র- আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে শনিবার রাত ১২টায় মারা যান এই গুনী ব্যাক্তি।
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অপরাজেয় বাংলা। ১৯৭৩ সালে এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর এর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে ১৯৭৯ সালে এর কাজ শেষ হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রতীকে পরিণত হওয়া ভাস্কর্যটি তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন আব্দুল্লাহ খালিদ।
নিজের গড়া ভাস্কর্যের পাদদেশেই শেষ শ্রদ্ধার আয়োজনে এসে সৈয়দ খালিদকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন বিশিষ্টজনরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক শিল্পী রফিকুন নবী বলেন, ‘আব্দুল্লাহ খালিদ ছিল আমার প্রথম ব্যাচের একজন ছাত্র । সে ছিল আমার ভীষন স্নেহের ছাত্রদের একজন।’
অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যের কথা উল্লেখ করে সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর বলেন, ‘এটি শুধু ভাস্কর্য নয়, এটি আমাদের ভাষা আন্দোলনের ও মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক, এই ভাস্কর্য আমাদের প্রেরণার যোগায়। যা অসাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের লড়বার প্রেরণা যোগায়।’
দৈনিক দেশজনতা/এমএম