২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ভোর ৫:৫৫

ছুটিরদিনে বাণিজ্য মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়

শিল্প ও বাণিজ্য ডেস্ক:

চারদিন পার করে পঞ্চম দিনে পা রাখলো ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। শুরুর পর একে একে ৪ দিন কেটে গেলেও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের খুব একটা সাড়া মিলছিল না। অবশেষে পঞ্চমদিনে শুক্রবার মেলার প্রাণ ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে মেলাপ্রাঙ্গণ।
মেলা শুরুর পর আজ শুক্রবার প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিনেই বেড়েছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণা। সকাল ১০টায় গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গেই মেলায় প্রবেশ করতে থাকেন দর্শনার্থীরা। দেখতে দেখতে দুপুর নাগাদ প্রায় ভরে যায় মেলা প্রাঙ্গণ।
ছুটির দিনে অনেকেই পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছেন। আবার স্কুল, কোচিংয়ের বিড়ম্বনা না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী দল বেঁধে এসেছেন মেলায়। নানা বয়সের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে উঠেছে মেলার মাঠ।
মেলায় গৃহস্থলী, শিশু ও নারী সামগ্রীর স্টলগুলোতে ভিড় বেশি দেখা যায়। ইলেকট্রনিক্স পণ্য, রান্নার সামগ্রী ও পোশাকের দোকানগুলোতেও চোখে পড়ার মতো ক্রেতা-দর্শনার্থী দেখা গেছে। তবে দেশি স্টল ও প্যাভিলিয়নের মতো জমজমাট অবস্থা দেখা যায়নি বিদেশি প্যাভিলিয়নগুলোতে।
মেলায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা রামপুরার বাসিন্দা মো. সিদ্দিক বলেন, বাণিজ্য মেলার শুরুর দিন থেকে বাচ্চারা ও তাদের মা ঘুরতে আসার আবদার করছে। তাদের আবদার পূরণ করতে মেলায় এসেছি। তবে আজ কেনাকাটার খুব একটা ইচ্ছা নেই। ঘুরে দেখাই মূল উদ্দেশ্য। মেলার শেষের দিকে কেনাকাটা করার ইচ্ছা আছে।
বেসরকারি একটি কোম্পানির এ কর্মকর্তা জানান, এক ছেল ও এক মেয়ে নিয়ে তার সংসার। দুই সন্তানই স্কুলে পড়ে। পুরো সংসার চলে তার একার আয়ের ওপর। চলতি মাসের বেতন পেয়েছেন ৩ তারিখে। বেতনের সেই টাকার একটি অংশ মেলার জন্য বরাদ্দ করে রেখেছেন।
মিরপুরের কাজীপাড়া থেকে ছেলে-মেয়ে নিয়ে মেলায় ঘুরতে এসেছেন শিক্ষিকা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেন, ছুটির দিন থাকায় শিশুদের নিয়ে মেলায় এসেছি। শিশুদের খেলনা ও একটি ড্রেস কিনেছি। বড় ছেলের জন্য কিনেছি একটি জিন্সের প্যান্ট। আর বাসার জন্য একটি রাইস কুকার ও কিছু প্লাস্টিকের সামগ্রী কিনেছি। এ ছাড়া কিছু বিস্কুটও কিনেছি।
মেলায় ৭ বন্ধুর সঙ্গে দল বেঁধে ঘুরতে আসা ধানমন্ডির একটি কলেজের শিক্ষার্থী রোমেল বলেন, আজ ছুটির দিন। কলেজ বন্ধ, নেই কোচিংয়ের প্যারাও। তাই বন্ধুরা মিলে মেলায় ঘুরতে এসেছি। কোনো কিছু কেনার উদ্দেশ্য নেই। মেলার মাঠ ও বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখবো। যতক্ষণ ভালো লাগে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিব, আনন্দ করব। মাঝে মধ্যে এটা ওটা কিনে খাব।
এদিকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ায় বেশ খুশি বিক্রেতারাও। ব্লেজার বিক্রেতা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, একে একে মেলার চারটা দিন চলে গেলেও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় তেমন ছিল না। আজ ছুটির দিন হওয়ায় ভিড় কিছুটা বেড়েছে। তবে বিক্রি পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। এরপরও দর্শনার্থীরা স্টলে এসে ঘুরে ঘুরে দেখছেন তাতেই আমরা খুশি। আমাদের প্রত্যাশা মেলার শেষ অর্ধে এসে বিক্রি বাড়াবে।
শিশু খেলনা ও মহিলা সামগ্রীর ব্যবসায়ী আজগর আলী বলেন, ছুটির দিন থাকায় অনেকেই পরিবরসহ মেলায় এসেছেন। যাদের সঙ্গে শিশু রয়েছে তারাই বেশি আমাদের স্টলে আসছেন। গত চারদিনের তুলনায় আজ বিক্রি মোটমুটি ভালো। আশা করি সামনে বিক্রি আরও বাড়বে।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :জানুয়ারি ৫, ২০১৮ ৭:১৪ অপরাহ্ণ