২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:৪৭

১ বলে ১১ রান দেওয়ার দুঃখ অ্যাবটের!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শন অ্যাবটের কথা পাঠকের কিংবা ক্রিকেট অনুসারীদের ভোলার কথা নয়। সেই যে যার বাউন্সারের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন ফিল হিউজ। তারপর হাসপাতালে নিতে হলো। আর জীবনে ফেরা হয়নি হিউজের। ওই ঘটনার পর দুঃস্বপ্নের মতো দীর্ঘ সময় কেটেছে অ্যাবটের। তবে এবার যা ঘটালেন তা অবশ্য বারবার দুঃস্বপ্নে ফিরবে না, তবে টি-টুয়েন্টির হল অব ফেমে তার ১ বলে ১১ রান দেওয়ার রেকর্ডটাকে তো রাখা যেতেই পারে!

ডেথ ওভারের বোলারদের স্নায়ু খুব শক্ত হতে হয়। বিশেষ করে টি-টুয়েন্টিতে। ওখানেই ম্যাচের চিত্র পাল্টে যায় হর হামেশা। পার্থ স্কচার্স ও সিডনি সিক্সার্সের সোমবারের ম্যাচের শেষ ওভারটি অবশ্য অতো নাটকীয় ছিল না। শেষ ৬ বলে স্কচার্সের জিততে দরকার ছিল ৯ রান। অথচ ওভারের প্রথম বলেই ১১ রান দিয়ে অ্যাবট প্রতিপক্ষকে জিতিয়ে আক্ষেপে পুড়েছেন!

ইচ্ছে করে তো আর তা করেননি এই ফাস্ট বোলার! ২০ ওভারে সিডনি ১৬৭ রান তুলেছিল। তারপরও স্কচার্স ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ার ঝুঁকিতে পড়েনি কখনো। সিডনির মাঠেই ছিল খেলা। তাদের ভুলভালে ভরা খেলা আসলে ডুবিয়েছে। তবু জিততে পারতো। মাইকেল ক্লিঞ্জার ও অ্যাস্টন টার্নারের ৯৬ রানের জুটি তা হতে দেয়নি। শেষে ৬ বলে ৯ রানের দরকার পড়ে স্কচার্সের।

শেষ ওভারে অ্যান্টি ক্লাইম্যাক্স। অ্যাবট আসলেন বল করতে। ডেলিভারিটি একটু ফুলার। কিন্তু অনেক বাইরে থেকে। উইকেটকিপার পিটার নেভিল ঝাঁপালেন। ওয়াইড বলটাকে ধরতে পারলেন না। ওয়াইডের সাথে বাউন্ডারি যোগ হয়ে ৫ রান। সুতরাং, শেষ ওভার শুরুই হলো না! আর ৪ রান দরকার স্কচার্সের। নাটক তো হতেই পারে তারপরও।

কিন্তু অ্যাবট ও সিক্সার্সের পক্ষে দিনটা ছিল না। অ্যাডাম ভোগস ছিলেন ব্যাটসম্যান। তখন নির্ঘাৎ বিশাল চাপের মধ্যে অ্যাবট। বল করলেন। ফুল টসটা বেশ উঁচুতে ছিল। মিডউইকেটে মারতে গিয়ে ভোগসের ব্যাটের কানা হয়ে সেই বল বোলারের মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যায় সীমানার ওপারে। সর্বোচ্চ রান এক বলে। ছক্কা! ৬ উইকেটের জয় স্কচার্সের। আর ১ বলে ১১ রান দেওয়ার দুঃখ অ্যাবটের!

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :জানুয়ারি ২, ২০১৮ ৩:২৭ অপরাহ্ণ