নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬ সালে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরীক্ষার দুই দিন আগেই ফাঁস হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়টির পাঁচ ছাত্রকে খুঁজছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার এক আসামি সোমবার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে জবানবন্দী দেন। ওই আসামির নাম সজীব আহমেদ।
সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার দাস গণমাধ্যমকে জানান, ইন্দিরা রোডের একটি ছাপাখানা থেকে ২০১৬ সালের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। ওই ঘটনায় সজীব আহমেদ গতকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। পরীক্ষার দুই দিন আগে প্রশ্নপত্র হাতে পান সজীব।
গত ১৪ ডিসেম্বর সিআইডি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ‘পিপলস প্রিন্টিং’ নামের ওই ছাপাখানার কর্মচারী খান বাহাদুরসহ ২৩ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র সজীবের বাড়ি জামালপুর। তিনি ওই প্রেসের কর্মচারী খান বাহাদুরের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র পেয়েছিলেন। তিনি তা বিক্রি করে ১৬ লাখ টাকা পান। তবে খান বাহাদুরকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে দেন। সিআইডি বলেছে, সজীব তাঁর এলাকায় পাঁচজন ক্রেতা জোগাড় করেন। প্রশ্নগুলোর সমাধানেও তিনি সহযোগিতা করেন। ওই পাঁচজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে এখন লেখাপড়া করছেন। সিআইডি ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা উদ্ঘাটনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিআইডিকে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে। এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ