নিজস্ব প্রতিবেদক:
মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় দায়ের করা ৫ মামলার মধ্যে ৩ মামলায় দিলদারসহ আপন জুয়েলার্সের মালিকদের হাইকোর্টের দেয়া জামিনের উপর আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশের মেয়াদ ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের অ্যাপিলেড বেঞ্চ। একইসঙ্গে ওইদিন তাদের জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে ২১ ডিসেম্বর শুনানিতে আপন জুয়েলার্সের মালিকদের জামিন ২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুলে আলম। আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাইকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিলের শুনানি করে মঙ্গলবার এ আদেশ দেন আদালত।
তবে উত্তরা ও ধানমন্ডি থানার অপর দুটি মামলায় দিলদার আহমেদের জামিন আবেদনের শুনানি মুলতবি রাখেন আদালত। তার আগে ২২ নভেম্বর আপন জুয়েলার্সের মালিকদের কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলজারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ১৩ ডিসেম্বর রুলের উপর শুনানি শেষ হয়।
এর আগে গত মে মাসে বনানীর একটি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের নামে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার হন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদ। এরপরই আপন জুয়েলার্সের ‘অবৈধ লেনদেন’-এর খোঁজে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দা। মে মাসের শেষ দিকে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শোরুম থেকে ১৫ দশমিক ৩ মণ স্বর্ণ এবং ৭ হাজার ৩৬৯টি হীরার অলঙ্কার জব্দ করা হয়।
অনুসন্ধান শেষে গত ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্রে মালিক তিনভাই দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়। দুই মামলায় গত ২২ আগস্ট তিনভাই হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। এরপর বিচারিক আদালতে হাজিরা না দেয়ায় গত ২৩ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। পরে তারা আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন আদালত।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ