নিজস্ব প্রতিবেদক:
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাবেক কাউন্সিলর ও চুনারুঘাট পৌর যুবদলের সহ সভাপতি ইউনুছ মিয়া (৪০)কে পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী বললেও তার স্ত্রী কাজী শাহানা আক্তার বলছেন ভিন্ন কথা।
পুলিশের ভাষ্য, রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দ্বিমাগুরউন্ডা গ্রামের একটি ঘরে ইউনুছসহ ৪/৫ জন বসাছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অন্য মামলার আসামিকে ধরতে পুলিশ সেখানে গেলে এসময় ইউনুছ বটি দিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। এতে পুলিশের এসআই আতাউর রহমান আহত হয় এবং পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়লে ইউনুছও আহত হয়ে ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকে। পরে খবর পেয়ে ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান, ইউএনও কাইজার মো: ফারাবি ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে এনে চুনারুঘাট হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউনুছ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ইউনুছ আলীর স্ত্রী কাজী শাহানা আক্তার বলেন, আমার স্বামী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। বিএনপি করেন তাই সে নানা ষড়যন্ত্রের শিকার ছিল। গত ৬/৮/১৭ ইং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন(বিশেষ) আদালত, হবিগঞ্জে আমি চুনারুঘাট থানার এএসআই দেলোয়ার, এএসআই সাজিদ, এসআই আতিকুল আলম খন্দকার, এএসআই রিপন বড়ুয়া, এএসআই জোসেফ, কনস্টেবল সুমনকে আসামি করে মামলা করি। মামলা নং ৬৩১/১৭।
তিনি বলেন, আমার স্বামী ইউনুছ আলীকে গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর থেকে গুম করা হয়। রাতে খবর পাই আমার স্বামীকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। খবর পেয়ে আমরা থানায় যাই কিন্তু পুলিশ লাশ দেখতে দেয়নি। পুলিশের বিরুদ্ধে আমি মামলা করার কারণেই আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।
এব্যাপারে বিএনপির চুনারুঘাট উপজেলা সভপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান বলেন, ইউনুছ যুবদলের সক্রিয় কর্মী। আগে তার বউ বাচ্চাদের শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করছি। ইউনুছের কাফন-দাফন হোক পরে মন্তব্য করব। সারা দেশেই এমনি কত মায়ের বুক খালি হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ