নিজস্ব প্রতিবেদক:
দাবি আদায়ে নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আমরণ অনশন দ্বিতীয় দিনের মত চলছে। সোমবার সকালে অনশনরত পাঁচ শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকলেও এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে তারা কোনো সাড়া পাননি।
নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, ‘আমরা এখনো সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া পাইনি। অনশনরত ৫ জন গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাদের ঢামেকে ভর্তি করা হয়েছে।’ তারা হলেন- পাবনার নান্নু মিয়া, নড়াইলের এবিএম বুলবুল, কুড়িগ্রামের ফরহাদ, বরিশালের বজলুর রহমান, ঠাকুরগাঁওয়ের আব্দুল খালেক।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. বিনয় ভূষণ রায় বলেন, ‘দাবি আদায় না হলে মৃত্যুবরণ করব। কিন্তু, এখান থেকে নড়ব না। আশা করছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মৃত্যুর আগেই এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা করবেন।’ গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। গতকাল রোববার সকাল ১০টা থেকে তারা আমরণ অনশন শুরু করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষরা জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার (নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, কারিগরি ও মাদ্রাসা) ৯৮ শতাংশ বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন স্তরে বর্তমানে দেশে ৭ হাজারের অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় আছে, যা এই স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক-চতুর্থাংশ। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১ লাখের অধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ২০ লাখের অধিক শিক্ষার্থীকে পাঠদানে নিয়োজিত। এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘ ১৫ থেকে ২০ বছর বিনা বেতনে শিক্ষাদান করছেন। দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে ২১ লাখ চাকরিজীবীর বেতন বেড়েছে। প্রতি গ্রেডে বেতন বেড়ে প্রায় দিগুণ হয়েছে। কিন্তু, তারা অবহেলায় পড়ে আছেন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ