নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির ভ্যানগার্ড জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৩৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ। ১লা জানুয়ারী ১৯৭৯ সালে কেন্দ্রীয়ভাবে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান যখন বিএনপির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তখন তিনি ভবিষ্যতের নেতৃত্ব তৈরি করার জন্য এর একটি ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তাই তিনি কেন্দ্রীয়ভাবে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। তখনকার সময়ের জিয়ার জনপ্রিয়তার জন্য অনেক তরুন অনুপ্রানিত হয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যোগদান করেন।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়া ইংরেজি বছরের ১৯৭৯ সালের প্রথম প্রহরে সংগঠনটি দেশবাসীকে উপহার দিয়ে বলেন, ‘ছাত্রদল অন্যায়ের বিরুদ্ধে চাবুকের ন্যায় কাজ করবে।’ করেছিলও তাই। মুক্তিযুদ্ধে পশ্চিম পাকিস্তানে চাকরির ছল দেখিয়ে কৌশলে পালিয়ে থাকা সামরিক অফিসার, ৮০’র দশকে দেশের প্রধান সামরিক কর্মকর্তা হয়ে বন্দুকের নলের মুখে নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে রাষ্ট্রক্ষমতা কেড়ে নিয়ে বন্দী করে গণতন্ত্র। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলই তখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন ভূমিকায় রাজপথে ভ্যানগার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বন্দী গণতন্ত্র মুক্ত করে।
পরবর্তীতে ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিন গংরা গণতন্ত্রের ওপর আটকাদেশ বা ডিটেনশন জারি করে একটি জুজুবুড়ির সরকার তৈরি করে। রাজনৈতিক দল ভাঙা এবং নিজ দলের নেতা-কর্মীর পারস্পরিক বিশ্বাস-অবিশ্বাস, দ্বন্দ্ব-সন্দেহের এক অস্বাভাবিক সংস্কৃতির ইন্ধন জোগায়। বেনিয়া-আমলা প্রভৃতিকে অস্ত্র ঠেকিয়ে অর্থ লোপাট করে বর্গীর শাসন শুরু করে। তখনো প্রতিবাদী ছাত্রদল। ২০০৭ সালের আগস্ট—ছাত্র আন্দোলনের ওপর রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নির্যাতনের সব শিকল ছিন্ন করে ছাত্রদলের সহস্র-অযুত নেতা-কর্মী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি অবিচল আস্থা রাখে।
ভয়ভীতি ও বিকিকিনির ওই বাজারে যা ছিল সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। ফিনিসীয় সভ্যতার ফিনিক্স পাখির মতো ছাত্রদলই তখন ভস্ম হয়ে যাওয়া দলীয় সংহতি ও দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পুনর্নির্মাণে বেগম খালেদা জিয়ার মুখ্য সৈনিক হিসেবে কাজ করছে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৯ সালে। ছাত্রদলের প্রধান শ্লোগান হচ্ছে – শিক্ষা-ঐক্য-প্রগতি। এই সংগঠনটির প্রধান কার্যালয় নতুন পল্টন, ঢাকায় অবস্থিত। বর্তমানে যারা বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত, তাদের মধ্যে অনেকেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাথে যুক্ত ছিলেন।
বিএনপির সহযোগী সংগঠন হিসেবে এ ছাত্র সংগঠনটি ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। ডাকসুর ভিপিসহ দেশের ছাত্র সংগঠনে নেতৃত্বদানকারী এ সংগঠনটি এখন প্রায় নিষ্ক্রিয়। গতিশীল নেতৃত্ব ও ছাত্রদের হাতে নেতৃত্ব না থাকার কারণে এ সংগঠনটি রাজপথে পুরনো ভূমিকায় নামতে পারছেন না।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ