নিজস্ব প্রতিবেদক:
পুলিশের নিষেধাজ্ঞার পরও আতশবাজি ফুটিয়ে ও ফানুস উড়িয়ে ২০১৮ সালকে বরণ করে নিয়েছে রাজধানীবাসী। রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক ফুটতে আতজবাজি, আর উড়তে থাকে ফানুস। বাসা-বাড়ির ছাদে উঠে অনেকেই নববর্ষের এ আনন্দকে উপভোগ করেন। চারপাশ থেকে ধ্বনিত হয় উচ্ছাস আর হল্লা। এই আনন্দ-উৎসব চলে প্রায় ১৫মিনিট।
তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে পুলিশের জারি করা কড়া নিরাপত্তায় রাজধানীর কোথাও উন্মুক্ত স্থানে বড় কোনো জমায়েত হতে দেয়নি পুলিশ। বন্দূ-বান্ধব নিয়ে তরুণদল রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নববর্ষ উদযাপন করে।
অন্যবারের মতো থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে ঢাকা মহানগর পুলিশ বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল, গুলশান, বনানী ও বারিধারায় বিশেষ নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়। টহলদারি পুলিশের পাশাপাশি কোনো কোনো রাস্তায় বসানো হয় চেকপোস্ট। এসব স্থানে যানবাহন ও পথচারীদের তল্লাশি করে পুলিশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির মতো অন্য উন্মুক্ত সমাবেশগুলোর স্থানে বড় কোনো জমায়েত হয়নি। বিচ্ছিন্নভাবে অনেকে সবান্ধব নববর্ষ উদযাপন করেন। কোথাও কোথাও আতশবাজির শব্দও শোনা যায়।
হাতিরঝিল ছিল যানবাহন ও জন-মানবশূন্য। এফডিসি থেকে হাতিরঝিল যাওয়ার পথটি ছিল বন্ধ। বন্ধ ছিল বনানী-গুলশান যাওয়ার কাকলীর রাস্তাটিও। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে মোতায়েন ছিল রায়টকার ও গরম পানির গাড়ি। তবে তারকা হোটেলগুলোতে ছিল উপছেপড়া ভিড়। হোটেলগুলো সাজানো হয়েছিল রঙিন বাতিতে। রেডিসন, রিজেন্সি, লা-মেরিডিয়ান হোটেলগুলোর সামনে রাত সাড়ে ১১টার পর থেকেই ভিড় দেখা পড়ে। ১২টার সময়ও এই ভিড় বজায় ছিল। হোটেলগুলো থেকেও আতজবাজি ও ফানুস উড়ানো হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশ আগেই রাজধানীর কোথাও কোনো খোলা জায়গায় বা হোটেল-রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। কোনো কোনো ক্লাব, হোটেল ও রেস্তোরাঁয় পুলিশের অনুমতি নিয়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নববর্ষ উদযাপন হতে দেখা যায়।
এর আগে রাত ১০টার পর বনানী, গুলশান, বারিধারা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সন্নিহিত কিছু সড়কে যানবাহন প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কোথাও কোথাও গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বসানো হয় প্রতিবন্ধক। এগুলোর দুই পাশে ছিল সশস্ত্র পুলিশের সতর্ক উপস্থিতি। সড়কে বিভিন্ন এলাকার আশপাশে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন ছিল। কিছু কিছু স্থানে আর্চওয়ে দেখা গেছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ