নিজস্ব প্রতিবেদক:
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সেতু সরকারকে বলৎকারের পর জবাই করে হত্যার অভিযোগে তার রুমমেট এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির ছাত্র মেজবাউল আলমকে যাবজ্জীন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার ঢাকার ১নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুরউদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
মামলার অপর ভিকটিম পুণম কুণ্ডকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যাচেষ্টা করায় একই আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
মামলার আসামি মেজবাউল দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার তলবরাশিদ গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট হাজারীবাগ থানাধীন তাল্লাবাগ শাহজাহান ভূঁইয়ার বাড়ির চতুর্থ তলায় মেসে এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের ছাত্র মেজবাহ আলম সেতু সরকারকে বলৎকার করেন এবং ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে জবাই করেন। অপর ভিকটিম পুণমকে কারেন্ট শক দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় নিহত সেতু সরকারের চাচা রতন কুমার কুমার পরের দিন হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট মেজবাউলকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা।
২০১৫ সালের ৩১ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় ১৯ সাক্ষীর মধ্য বিভিন্ন সময় ১৮ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর