কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :
মিয়ানমার থেকে আসা বিপুল পরিমান রোহিঙ্গা অবস্থানের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রোহিঙ্গা বাজার স্থাপনের কুমানসে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ লাগোয়া থাইংখালী ব্রিজের নিচে খাল দখল করে নির্মান করা হচ্ছে মার্কেট সহ অসংখ্য দোকানপাট। গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এলাকার প্রভাবশালী মহল খালের মধ্যভাগে পাকা পিলার স্থাপন করার ফলে খালের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়ে সরাসরি ব্রিজে আঘাত হানছে। এতে ব্রিজের পাটাতনে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দখল প্রবনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নড়বড়ে হয়ে পড়েছে ব্রিজটি এবং তা ধ্বসে পড়লে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক যোগাযোগ। স্থানীয় ব্যবসায়ী ছিদ্দিক আহাম্মদ জানান,প্রায় শতফুট র্দীঘ এ ব্রিজটি নির্মান করা হয় ১৯৬২ সালে। গুনগত মান সম্পন্ন এ ব্রিজের পাশের্^ খাল দখল করে দোকান নির্মান করছে স্থানীয় প্রভাবশালী নুরুল হক,নুর আহামদ,নুরুল বশর, আবুল বশর সহ বেশ কয়েকজন অবৈধ দখলদার। গতকাল রবিবার সরজমিন ঘটনাস্থল থাইনখালী খাল দখল করে দোকান ও মার্কেট নিমানের ছবি তুলতে গেলে দুবৃত্তরা পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদিন জানান, গত বর্ষা মৌসুমে এ ব্রিজের গাইড ওয়াল ভেঙ্গে যায়। পরে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বালির বস্তা ও ব্রিজের উপর লাল পতাকা দিয়ে সাবধানে যানবাহন চলাচলের জন্য সতর্ক করে তাদের করে দ্বায়িত্ব শেষ করেছে। প্যানেল চেয়ারম্যান মোজাফফর আহামদ জানান,পাহাড়ী ঢলের পানি নিস্কাসনে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় এ ব্রিজটি প্রতি বর্ষা মৌসুমে পানির ¯্রােতের ধাক্কায় ব্রিজের পুরো অবকাঠামো নড়বড়ে হয়ে গেছে। বর্তমানে মিয়ানমার থেকে বিপুল পরিমান রোহিঙ্গা আসার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রোহিঙ্গা বাজার স্থাপন করে অবৈধ বানিজ্যের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। এরই অংশ হিসেবে খালের মধ্যভাগ পর্যন্ত মাটি ভরাট করে দোকান নির্মান করা হচ্ছে। যা ব্রিজের উপর প্রভাব পড়ার আশংকা শতভাগ। স্থানীয় চেয়ারম্যান এম,গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, অবৈধ দখলদাররা এতই প্রভাবশালী যে তারা স্থানীয় প্রশাসনের আদেশ নির্দেশের তোয়ক্কা করেনা। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান জানান, গত কয়েকদিন পূর্বে থাইংখালী খালের উপর নির্মানাধীন দোকান ভবনের নির্মান সামগ্রী জব্দ করা হয়েছিল। তবুও যদি কেউ কাজ করে থাকে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ