নিজস্ব প্রতিবেদক:
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, অবাধ, নিরপক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন একটি উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এই নির্বাচনের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে পরবর্তী নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠানের দাবি জানান তিনি। রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ীদের তথ্য উপস্থাপন ও নির্বাচনের সার্বিক মূল্যায়ন’ শীর্ষক সাংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বদিউল আলম বলেন, নির্বাচন কমিশন, সরকার তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন, রাজনৈতিক দলগুলোর সম্বিলিত প্রচেষ্টার ফসল হচ্ছে রংপুরের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার কোনো প্রচেষ্টা আমরা দেখেনি। সরকারের শরীক দলভুক্ত এমপি-মন্ত্রীরা নির্বাচনী এলাকায় থাকলেও কেউ প্রচারণায় অংশ নেয়নি। সরকার যদি সহায়তা করে এবং প্রশাসন হস্তক্ষেপ না করে তাহলে জাতীয় নির্বাচনও অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আমরা আশা করি।
সংবাদ সম্মেলনে সুজনের নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, এই নির্বাচন দিয়ে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা, দক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা বিচার করা ঠিক হবে না। কারণ স্থানীয় সরকার নির্বাচন নয়, গ্রহণযোগ্যতা ও দক্ষতা প্রমাণ করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে দেখাতে হবে সুষ্ঠু ও অবাধ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, যেখানে ক্ষমতা বদল হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে রংপুরে নির্বাচিত মেয়রসহ ৪৫জন জনপ্রতিনিধির শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, মামলা সংক্রান্ত তথ্য, বাৎসরিক আয়-ব্যয়, এবং ঋণ ও কর সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হয়। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ৪২.২২ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। মাত্র ২০ শতাংশ প্রার্থী স্নাতক পাস। নবনির্বাচিত মেয়রও স্নাতক পাস।
পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, যাদের আয় ৫ লাখ টাকার কম তাদের নির্বাচিত হওয়ার হারও কম, যাদের আয় ৫ লাখ টাকার বেশি তাদের নির্বাচিত হওয়ার হার বেশি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী নির্বাচিতদের মধ্যে অধিকাংশ ব্যবসায়ী। নির্বাচিত ৩৩ জন সাধারণ কাউন্সিলরের মধ্যে ২৪ জনই ব্যবসায়ী। নির্বাচিত মেয়র নিজেও ব্যবসায়ী। নবনির্বাচিত মেয়র মো. মোস্তাফিজার রহমানের বার্ষিক আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ২ শত ৭২ টাকা বলে সাংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ