দৈনিক দেশজনতা অনলাইন ডেস্ক:
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিথ্যা বলা ও ভুল দাবি করার প্রবণতা এক সময় মার্কিন সাম্রাজ্যের পতন ডেকে আনতে পারে। এমনটাই বলেছেন, আমেরিকার ‘কালচার ওয়ার্স’ নামের একটি ম্যাগাজিনের কারেন্ট এডিটর ই. মাইকেল জোন্স। তিনি বলেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এসব মিথ্যা বলছেন এবং কথিত রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র মোকাবেলার কথা বলছেন। কিন্তু তার এসব তৎপরতা একসময় আমেরিকার পতনের কারণ হতে পারে।
গত বুধবার ট্রাম্প মিথ্যা ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিনি আগের যেকোনো প্রেসিডেন্টের চেয়ে এ পর্যন্ত বেশি বিলে সই করেছেন যা আইনে পরিণত হয়েছে। এছাড়া, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের পারফরমেন্সের প্রশংসা করেন তিনি। পাশাপাশি ট্রাম্প দাবি করেন যে, তার কারণেই আমেরিকার স্টক মার্কেট চাঙ্গা হয়েছে এবং রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ট্যাক্স কাটছাঁটের বিষয়ে তিনি সবচেয়ে বড় কাজ করেছেন বলেও দাবি করেন। এ প্রসঙ্গে মাইকেল জোন্স বলেন, “ট্রাম্প এসব বলছেন কারণ আমেরিকার গণমাধ্যম, মূলধারার গণমাধ্যম, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, দেশের সমস্ত স্তম্ভ সবাই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। ফলে এগুলোর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু তিনি এমন কিছু করছেন ও বলছেন যা সত্য নয়। তার এসব কর্মকাণ্ড অনাকাক্সিক্ষত পরিণতি ডেকে আনবে। ট্রাম্পের আবেগতাড়িত তৎপরতার কারণে মানব-ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রচারণা মন্ত্রণালয় সবার আগে ধ্বংসের মুখে পড়বে।”
ট্রাম্পের দাবির বিপরীতে ‘গভট্র্যাক’ নামের একটি ওয়েবসাইটে বলা হচ্ছে- ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ পর্যন্ত ট্রাম্প যত বিলে সই করেছেন তার চেয়ে গত ৬০ বছরের মধ্যে আইজেন আওয়ার থেকে সব প্রেসিডেন্ট একই সময়ে অনেক বেশি বিলে সই করেছেন। ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে- ৩৩৬ দিনে ট্রাম্প ৯৪টি বিলে সই করেছেন যা আইনে পরিণত হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিুউ বুশ এ সময়ে ট্রাম্পের চেয়ে আরো আটটি বিলে সই করেছিলেন এবং বিল ক্লিনটন প্রায় দ্বিগুণ বিলে সই করেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি