আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অশান্ত সিনাই উপদ্বীপে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলার দায়ে ১৫ জঙ্গিকে ফাঁসিতে ঝুঁলাল মিশর। ২০১৩ সালে দেশটির উত্তরপূর্বে ওই হামলায় ৯ সেনা সদস্য শহীদ হন। নিহতদের মধ্যে একজন সেনা কর্মকর্তাও ছিলেন।
সেনা আদালত মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়ার পর সিনাইয়ের ওই বিদ্রোহীদের দু’টি জেলে আলাদা করে রাখা হয়েছিল। সেখানেই মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ড- কার্যকরা করা হয়েছে।
২০১৫ সালের পর এটাই মিশরে সর্ববৃহৎ গণফাঁসি। দু’বছর আগে একসঙ্গে ৬ বিদ্রোহীর প্রাণদ- কার্যকর করা হয়েছিল।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আলেকজান্দ্রিয়া থেকে ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে বুর্জ আল-আরব জেলে ১১ জনের ফাঁসি হয়। বাকি ৪ জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে কায়রোর ১২০ কি.মি. পশ্চিমে ওয়াদি আল-নাটরুন কারাগারে। ২০১৫ সালের জুনেই সেনা আদালত এই ১৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদ- দিয়েছিল। গত ১৩ নভেন্বর সর্বোচ্চ আদালতও সেই রায় বহাল রাখে। তারপরই ফাঁসির তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়।প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই উত্তর সিনাইয়ের বিমানবন্দরে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল থেকে হেলিকপ্টারে হামলা চালায় ইসলামিক স্টেটের বিদ্রোহীরা। মিশরের স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সে সময় বিমানবন্দর পরিদর্শন করছিলেন। আইসিসের হামলার হাত থেকে দুই মন্ত্রী প্রাণে বাঁচলেও, নিহত হন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এক সহযোগী এবং ওই হেলিকপ্টারের পাইলট।
সিনাই প্রদেশে এ পর্যন্ত আইসিসের হাতে কয়েক’শো পুলিশ ও সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। সাধারণ মানুষও বিদ্রোহীদের আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ