নিজস্ব প্রতিবেদক:
`মসলিন শিল্প আমাদের চারশত বছরের পুরনো ঐহিত্য এবং গৌরবের। এই শিল্পের গৌরব ফিরিয়ে আনতে তুলাগাছ চাষ করে পুনরায় সুতা উৎপাদনের চেষ্টা চলছে। সকলে একত্রে কাজ করলে দুই বছরের মধ্যে এই ঐতিহাসিক পণ্য পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব।’
আজ মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের উদ্যোগে আয়োজিত ‘মসলিন পুনরুজ্জীবন: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে দৃক পিকচার লাইব্রেরি (বেঙ্গল মসলিন) লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, যদিও অন্যান্য কিছু অঞ্চলে মসলিন উৎপাদিত হতো, কিন্তু বাংলার মসলিনের চাহিদা ছিল বিশ্বব্যাপী। দৃক মসলিনের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এই শিল্পের তুলা গাছের চাষ হয় না প্রায় ১৮০ বছর হলো। পুনরায় এই তুলা গাছ চাষের চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এর ফলাফল হচ্ছে ৪০০ কাউন্টের শাড়ি উৎপাদন।
জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহ. ইশতিয়াক। আলোচনায় অংশ নেন লোকশিল্প গবেষক শ্রী চন্দ্র শেখর সাহা, হস্তশিল্প গবেষক রুবী গজনবী, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ফরিদউদ্দিন, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের সদস্য মো. মিজানুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান। বাসস।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর