নিজস্ব প্রতিবেদক:
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে গাছ পালাতেও। পৌষ ও মাঘের শীত শেষে হালকা গরমের সঙ্গে গাছে গাছে আমের মুকুল দেখা দেয়ার কথা থাকলেও জয়পুরহাটে আমের গাছ গুলোতে আগাম মুকুল ধরেছে। আমের জন্য এ জেলার সুখ্যাতি না থাকলেও স্থানীয় জাতের ’নাক ফজলী’ আম বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়াও আম্রপালি, গোপালভোগ জাতের আমও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইতোমধ্যে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, একটি শৈত প্রবাহ ছাড়া পৌষ মাসে এখনো তেমন শীতের দেখা মিলছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের এ প্রভাব পড়েছে গাছ পালাতেও। তেমন শীত না থাকায় জেলায় আমের গাছে শোভা পাচ্ছে আগাম জাতের আমের মুকুল। জেলায় এবার ২০১৬-১৭ মৌসুমে ৮ শ ৪৯ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। এতে আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৯ শ ৮৮ মেট্রিকটন।
এ ছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে শতাধিক ছোট বড় মিলে ৫৬০টি আমের বাগানও রয়েছে। স্থানীয় জাতের মধ্যে ’নাকফজলী’ সুবর্ণরেখা, সুরমাফজলী, ক্ষিরশাপাত, আম্রপালি, আশ্বিনা, গোপালভোগ, নেংড়া আম বেশ জনপ্রিয়। নাকফজলী আম কিছুটা লম্বাটে আকৃতির এ আমের মধ্যে বিচি থাকে ছোট। খেতে বেশ সু স্বাদু এবং গন্ধময়। নাকফজলি ছাড়াও আম্রপালি, গোপালভোগ আমের সঙ্গে নেঙ্গড়া আমের চাষ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক সুধেন্দ্র নাথ রায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমের বাম্পার ফলনের আশা করেন তিনি। বাসস।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ