আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাম রহিমের পর আরও এক ভণ্ড বাবার কুকীর্তি ফাঁস। তাহলে কী এবার জেলে যেতে হবে বীরেন্দ্র দেব দীক্ষিত নামে ওই স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে? গত কয়েকদিনের ঘটনা কিন্তু সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। দিল্লির পর এবার উত্তরপ্রদেশের শিকতারবাদ এবং কাম্পিলে অবস্থিত বাবার দুই আশ্রম থেকে উদ্ধার করা হল ৪৭ জন মহিলা এবং এক নাবালিকাকে। গোপনসূত্রে খবর পেয়েই গত শনিবার ওই আশ্রম দুটিতে হানা দেয় পুলিশের সিনিয়র অফিসাররা। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় তাঁদের।
তবে এই কাজটি মোটেই সহজ ছিল না। প্রথমে আশ্রম দু’টিতে ঢুকতেই পারছিল না পুলিশ। বাবার ভক্তরা এবং তার বেশ কিছু মহিলা সমর্থক আশ্রমের গেট আটকে দাঁড়ায়। পুলিশের কাছে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখতে চায় এবং বচসায় জড়ায়। এরপর পুলিশ আশ্রমের পাশে অবস্থিত বাড়িগুলির ছাদে উঠে সেখান থেকে প্রবেশ করে। দু’টি আশ্রমের ক্ষেত্রেই একই পন্থা অবলম্বন করতে হয় পুলিশকে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ত্রিভুবন সিং বলেন, নাবালিকা মেয়েটিকে শিকতারাবাদ আশ্রম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিয়ে গিয়ে তার বয়ান রেকর্ড করা হবে। এদিকে, শনিবার দিল্লির দ্বারকার একটি আশ্রম থেকে আরও পাঁচজন মেয়েকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালেওয়ালকে সঙ্গে নিয়ে রোহিনি আশ্রম থেকে ৪০ জন নাবালিকাকে উদ্ধার করেছিল দিল্লি পুলিশ। জানা যায়, আশ্রমটি চালাত বীরেন্দ্র দেব দীক্ষিত ওই স্বঘোষিত ধর্মগুরু। ধর্মকে ঢাল করেই অবাধে চলত যৌনাচার। নাবালিকাদের প্রতি বাড়তি আগ্রহ ছিল বাবার। জানা যাচ্ছে, কৃষ্ণের ষোল হাজার গোপিনীর অনুকরণে, নিজের পাশেও সমসংখ্যক রমণী চেয়েছিল ওই বাবা। তাই অনুগামীদের নাবালিকা কন্যাদের জোর করে আশ্রমে আটকে রাখত। একের পর এক অভিযোগ পেয়ে সিবি আইকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। তারপরই সামনে আসে বাবার কুকীর্তি।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি