আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়নি তরুণী। এতে ক্ষোভে প্রকাশ্য রাস্তায় জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে তারই সাবেক সহকর্মী। শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের হায়দরাবাদে এ বর্বোরচিত ঘটনা ঘটে। খবর আনন্দবাজার’র। মৃত সন্ধ্যা রানী সেকেন্দ্রাবাদে একটি সংস্থায় রিসিপশনিস্টের কাজ করতেন। অভিযুক্ত ওই সহকর্মীর নাম কার্তিক।
পুলিশ জানায়, দুই বছর আগে কার্তিক ও সন্ধ্যা একই অফিসে কাজ করতেন। তখন থেকেই সন্ধ্যাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতেন কার্তিক। বেশ কয়েকবার বিয়ের প্রস্তাবও দেন। কিন্তু সন্ধ্যা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বছরখানেক আগে কার্তিকের চাকরি চলে যায়। কিন্তু তারপরেও তিনি সন্ধ্যাকে উত্ত্যক্ত করা বন্ধ করেননি। উল্টো প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সন্ধ্যাকে হুমকিও দিত। পাশাপাশি, সন্ধ্যাকে চাকরি ছাড়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু তাতে পাত্তা দেননি সন্ধ্যা। ঘটনার দিন সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, সে সময় কার্তিক মোটরসাইকেল নিয়ে সন্ধ্যার পথ আটকায়। তাদের দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়। তারপরই কার্তিক হঠাৎ একটি হারিকেন থেকে কেরোসিন তেল বের করে সন্ধ্যার গায়ে ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান তিনি। চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে সন্ধ্যাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তার শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। শুক্রবার সকালে সন্ধ্যার মৃত্যু হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে কার্তিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ