নিজস্ব প্রতিবেদক:
গভীর রাতে পদোন্নতি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি রহস্যজনক বলে অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। শনিবার দুপুর পৌনে ১২টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ১৯৬ কর্মকর্তার যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যা রহস্যজনক এবং সর্বমহলে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। বলেন, এসএসবির ফিটলিস্ট অনুযায়ী অনেক যোগ্য ও উপযুক্ত কর্মকর্তাকেও পদোন্নতি দেয়া হয়নি। এ ছাড়া আরো বেশকিছু কর্মকর্তার নাম ফিটলিস্টভুক্ত করা হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার দলীয়করণের মাধ্যমে গোটা প্রশাসনকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। বার বার যোগ্য ও মেধাবী কর্মকর্তাদের পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা, অযোগ্য দলীয় লোকদের প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসিয়ে রাখা, দলীয় লোকদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া এবং পদের তিনগুণের বেশি পদোন্নতি দিয়ে প্রশাসনের ভারসাম্য ভেঙে ফেলা হয়েছে। বার বার পদোন্নতি বঞ্চিত হয়ে হতাশা থেকে বেশ কয়েকজন যোগ্য কর্মকর্তা আত্মহত্যাও করেছে। যা জাতির জন্য খুবই লজ্জাকর।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন-আওয়ামী লীগই আগামীতে ক্ষমতায় আসবে। তার উদ্দেশ্যে বলতে চাই- তাহলে কী আপনারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মতো আরেকটি নির্বাচনের নীল নকশা প্রস্তুত করে রেখেছেন? ভোটারবিহীন নির্বাচনে এতটাই মজা পেয়েছেন যে, তারা সেই অবৈধ পথ ছাড়তে চাচ্ছেন না। ওবায়দুল কাদের সাহেবের এই বক্তব্য আগামী নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা ও ষড়যন্ত্রের ক্ষণে ক্ষণে একটা নৈরাজ্যের কালো রাতের আভাস মেলে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু এবারেই দুঃশাসনের ঘন অন্ধকারের অবসান ঘটবে। মানুষের ঘৃণা-ধিক্কারে অবৈধ ক্ষমতাসীনরা আর টিকে থাকতে পারবে না। ভোটারবিহীন নির্বাচনের স্বপ্ন আর পূরণ হবে না। বিভীষিকাময় রক্তাক্ত প্রান্তর সৃষ্টি করে আর প্রধানমন্ত্রীত্ব করা যাবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বাইরেও সাবেক সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, আইনজীবী, রাষ্ট্রদূত, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী যারা গুম হয়েছেন তাদের পরিবারও নিখোঁজ স্বজনদের অপেক্ষায় আছে। তাদেরকে ফিরিয়ে দিন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সানাউল্লাহ মিয়া, আবদুস সালাম আজাদ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ