আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার বলেছে, তারা প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যাপারে ইউক্রেনকে সহযোগিতা করবে। আর এ পদক্ষেপ সরকারি বাহিনী ও রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে সঙ্ঘাতকে আরো উস্কে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে তাদের মধ্যে যুদ্ধে ১০ হাজারের বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন। এদিকে মস্কোর সাথে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে আহবান জানিয়েছেন ওয়াশিংটনের এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও ভূ-খণবডগত অখণ্ডতা রক্ষায় এবং আগ্রাসন ঠেকাতে দেশটির দীর্ঘ মেয়াদি প্রতিরক্ষা সক্ষমতা গড়ে তুলতে আমাদের সহায়তা প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘মার্কিন সহযোগিতা সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক। এ ব্যাপারে আমরা সব সময় বলে আসছি যে ইউক্রেন হচ্ছে একটি সার্বভৌম দেশ এবং এক্ষেত্রে তাদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। পূর্ব ইউক্রেনের অগ্রগতির উপায় হিসেবে মিনস্ক চুক্তির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এ ঘোষণার আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের চার কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এবিসি’র খবরে বলা হয়, অত্যাধুনিক জাভেলিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনে সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। খবরে আরো বলা হয়, মোট ৪৭ লাখ ডলারের এ প্রতিরক্ষা প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে ২১০টি ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও ৩৫টি লাঞ্চার বিক্রয়। এদিকে চলতি মাসের গোড়ার দিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন রাশিয়াকে সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উষ্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা ইউক্রেনকে নিয়ে সৃষ্ট অচলাবস্থা।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি