আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গত ২৯ নভেম্বর উত্তর কোরিয়া একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম বলে দাবি করেছে দেশটি। শুক্রবারের প্রস্তাবে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৯০ শতাংশ পেট্রলিয়াম আমদানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ব্যারেল পরিশোধিত পেট্রলিয়াম, যা এবার বেড়ে দাঁড়াল ৫ লাখ ব্যারেলে। আর অপরিশোধিত তেলের ক্ষেত্রে পরিমাণটি বছরে ৪ মিলিয়ন ব্যারেল।
এটি চলতি বছরে উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের তৃতীয় এবং সবমিলে ১০ম নিষেধাজ্ঞা আরোপ। এদিন বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধে চীন ও রাশিয়া সম্মতি দিয়েছে। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি নিক্কি হ্যালি বলেন, ‘সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত পিয়ংইয়ংকে একটি বার্তাই দেয়, আবারো সীমালঙ্ঘন করলে দেশটি আরো কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হবে।’ এবারের নিষেধাজ্ঞায় বিভিন্ন দেশে কর্মরত উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের আগামী দুই বছরের মধ্যে ফেরত পাঠাতে বলা হয়েছে। প্রবাসী আয় উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতির অন্যতম উপাদান। একই সঙ্গে যন্ত্রাংশ ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী রফতানির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তালিকায় আছে দেশটির তৈরি পোশাক সামগ্রীও।
কিম জং উনের উত্তর কোরিয়ায় সবচেয়ে বেশি তেল রফতানি করে থাকে চীন। উত্তর কোরিয়ার ওপর অনেক আগেই নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যুক্তরাষ্ট্র ২০০৮ সাল থেকে উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে। দেশটির ওপর নতুন করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এক টুইট বার্তায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘এ নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্ব শান্তি প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে যাবে। ১৫-০ ভোটে সর্বসম্মতিতে প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্ব শান্তি চায়, মৃত্যু নয়।’
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি