নিজস্ব প্রতিবেদক:
জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্য আদালতে জমা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বেগম জিয়ার স্বাক্ষরিত ওই বক্তব্য আদালতে পেশ করা হলে আদালত তা গ্রহণ করেন। এরপর আদালত ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর দুই দুর্নীতি মামলার পরবর্তী যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অন্যতম আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। গত মঙ্গলবার এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল তার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে বেগম খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। এরপর বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আদেশ দেন।
এ পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে তার আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এ নিয়ে টানা তিন দিন বেগম খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা দিলেন। আজ বেগম খালেদা জিয়ার হাজিরা ঘিরে আদালত ও এর আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসন। আদালতের প্রধান ফটকে স্ক্যানার মেশিন বসিয়ে সবাইকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক। ২০১০ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল (ইকোনো কামাল), ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি