স্পোর্টস ডেস্ক:
পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করাটা তার কোচিং দর্শনই বলতে হবে। সর্বশেষ বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকার সময়টাতে নিজের স্বাধীন মতামত থেকে শুরু করে সবকিছুই ভালোভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তা দিয়েছেও। অনেকে বলতো, এরই নাম একনায়কতন্ত্র যার দাপটে মনমতো সব করতে পারেন কোচ! হাথুরুর অতোটা স্বাধীনতা পাওয়া নিয়ে সময়ে সময়ে ক্রিকেট মহলে বিতর্কও কম ওঠেনি। তবে বুধবার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের দায়িত্ব নিয়েছেন এই ৪৯ বছর বয়সী কোচ। যাকে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডও পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিচ্ছে।
অক্টোবরে বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন হাথুরুসিংহে। যদিও তার চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। বিসিবির সঙ্গে পদত্যাগের সব আনুষ্ঠানিকতা সারতে কিছুদিন আগে ঢাকায়ও এসেছিলেন। ফিরে গিয়ে বুধবার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বটা বুঝে নিয়েছেন তিনি। জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সফর দিয়েই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলে শুরু হবে হাথুরু পর্ব। আর নির্দিষ্ট করে বললে, শুরুটা বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে। এরপর টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি সিরিজ স্বাগতিকদের বিপক্ষে।
নতুন কোচকে দায়িত্ব দিয়ে তাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার কথা জানিয়ে শ্রীলঙ্কা বোর্ডের প্রেসিডেন্ট থিলাঙ্গা সুমাথিপালা বলেন,‘বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচকে নিয়োগ দিয়ে তাকে কাজের পূর্ণ স্বাধীনতা না দেওয়ার তো কোন কারণ নেই। আমি কোচ নই এবং বোর্ডের কেউই চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চেয়ে কোচের কাজটা ভালো বোঝেন না। আমরা তাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেব।’ এমনিতে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে দল নির্বাচন থেকে শুরু করে সবকিছুই ঠিক পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করার নজির নেই। হাথুরুসিংহে পূর্ণ স্বাধীনতা পেলেও তাকে যে জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে তা বোঝা যায় সুমাথিপালার এই কথায়, ‘তবে আমরা বিশ্বাস করি তিনি তার কাজ ভালো করবেন এবং সময়ে সময়ে আমাদের প্রশ্নের জবাব দেবেন।’
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি