নিজস্ব প্রতিবেদক:
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যৌথ কার্যকরী গ্রুপ (জেডাব্লিউজি) গঠন করা হয়েছে। জেডাব্লিউজি’র টার্মস অব রেফারেন্সও (কার্যপদ্ধতি) সই হয়েছে। প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে জেডাব্লিউজি প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে জেডাব্লিউজির কার্যপদ্ধতি সই হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। আর মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব (পার্মানেন্ট সেক্রেটারি) উ মিন্ট থো। চুক্তি সইয়ের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৩ নভেম্বর মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিডোতে সই হওয়া সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুযায়ী জেডাব্লিউজি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন, রাখাইন রাজ্যে পুনর্বাসন এবং মিয়ানমার সমাজে পুন:একত্রিকরনের পদক্ষেপ নেবে। জেডাব্লিউজি সার্বিক প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করবে এবং নিজ নিজ দেশের সরকারকে তিন মাস অন্তর মূল্যায়ন প্রতিবেদন দেবে। প্রত্যাবাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এবং আগ্রহী আন্তর্জাতিক অংশীদারদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বৈঠকে দুই দেশ ১৫ সদস্যের দুটি জেডাব্লিউজি গঠন চূড়ান্ত করেছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি