নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, প্রশ্ন ফাঁস যুগ যুগ ধরে হচ্ছে। আগে এতো বেশি প্রচারণা হতো না। এখন গণমাধ্যম বেড়ে যাওয়ায় প্রচারও বেশি হচ্ছে। শিক্ষকরাই এই কাজের মূল হোতা। সরকারকে বিপদে ফেলতেই পরীক্ষার দিন সকালে তারা প্রশ্নপত্র ফেইসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। সরকার বর্তমানে প্রশ্নফাঁস অনেক কমিয়ে এনেছে বলে দাবি করেন তিনি।
সোমবার রাজধানীর মাতুয়াইলে বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্টত্মক ছাপানোর বিভিন্ন ছাপাখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি জানান, আগামী ৩০ ডিসেম্বর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে। আর পরদিন ১ জানুয়ারি সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নুরুল ইসলাম বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের দায়ভার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একার নয়, সমাজিক অবক্ষয়ও বড় কারণ। তবে সরকার নানা প্রচেষ্টায় প্রশ্ন ফাঁস কমিয়ে এনেছে। আগে সরকারি ছাপাখানা বিজি প্রেস ছিল প্রশ্ন ফাঁসের আখড়া। তা বন্ধ করা হয়েছে। এতে প্রশ্ন ফাঁস অনেক কমে গেছে। বর্তমানে পরীক্ষার দিন সকালে শিক্ষকদের হাতে প্রশ্ন গেলেই তারা বিভিন্ন কৌশলে তা ফাঁস করছেন। এরপর সেটিকে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার শিক্ষকদের নজরদারিতে রেখেছে। ইতোমধ্যে এ কাজের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন শিক্ষককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস রোধে তিনি শিক্ষক-অভিভাবকসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর