২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১:৪০

আ.লীগ ভোট চোর, কেন্দ্র পাহারা দেবেন : মির্জা আলমগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে প্রস্তুত রংপুরবাসী। আওয়ামী লীগ হলো চোরের দল। তারা ভোট চুরি করবে। আপনার কেন্দ্র পাহারা দেবেন। সোমবার দুপুরে রংপুর মহানগরীর সিও বাজারে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী কাওছার জামান বাবলার পক্ষে প্রচারণাসভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা আলমগীর বলেন, রংপুরের মানুষ সারা জীবন লড়াই করেছে। নুরল দিন লড়াই করেছেন। কৃষক আন্দোলন হয়েছে। এবারের এই রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনও রংপুরবাসীর জন্য অধিকার আদায়ের লড়াই। ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করার মাধ্যমে সেই লড়াইয়ে বিজয়ী হবে রংপুরবাসী। তিনি বলেন, মাঠে লড়াই করার জন্যই আমরা আছি। নির্বাচন কমিশন সঠিক আচরণ করছেন না। তবুও আমরা মাঠে আছি। মাঠে থেকেই আমরা বাবলাকে বিজয়ী করবো।

দেশের মানুষ আর বাকশালে ফিরে যেতে চান না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন শুধু বাবলার নির্বাচন নয়, এটি হচ্ছে আমাদের অধিকার আদায়ের নির্বাচন। আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। আমরা যে বস্ত্র, অন্ন, চিকিৎসাসহ মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য জীবন বিলিয়ে দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলাম। আজ বিজয়ের মাসে আমরা দেখতে পাচ্ছি সেই স্বপ্ন আর অধিকার বঞ্চিত হয়েছি আমরা। এই সরকার সব কিছু কেড়ে নিয়েছে। ঘুষ না দিলে এই দেশে আর কিছুই হয় না। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মানুষ ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে বাবলাকে নির্বাচিত করে অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।

সরকারের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার দেশের কোমড় ভেঙ্গে দিয়েছে। মানুষের জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছে। যেখানেই যাবেন শুধু ঘুষ আর দুর্নীতি। ১০ টাকা কেজির প্রতিশ্রুতির চাল এখন ৬০ টাকা। পেয়াজের দাম ১০০ টাকার উপরে। বিদ্যুৎ তেল, ডিজেল, কেরোসিন সব কিছুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সারের দাম তিনগুণ চারগুণ হয়েছে। গ্যাসের দাম বেড়েছে। প্রতিদিন কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কলকারখানায় বিদ্যুৎ গ্যাসের লাইন দেয়া হচ্ছে না। এই সরকার মানুষের ওপর অবৈধভাবে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে আছে।

খুন খুন, গুম, হত্যা, ধর্ষণ ছাড়া এই সরকার জাতীকে আর কিছুই দিতে পারেনি দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে খুন করা হচ্ছে। গুম করা হচ্ছে। ঢাকা পশ্চিমের ডিসি বিপ্লব সরকার গুমের বিষয়টি নিজেই স্বীকার করে বলেছেন, আমরা গুম করি কিন্তু বলতে পারি না। আজ দেশে অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে গুম করা হয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ফরহাদ মজহারের মতো পণ্ডিতকে গুম করা হয়েছিল। সাবেক রাষ্ট্রদূতকে গুম করা হয়েছে। আসিফ নজরুলের নামে ২৬টি মামলা, ডেইলি স্টারের সম্পাদকের নামে ১২৫ টিরও বেশি মামলা দেয়া হয়েছে। মাহমুদুর রহমানের মতো একজন সম্পাদককে অন্যায়ভাবে ৫ বছর জেলে রাখা হয়েছে। এরা সবাই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিল। এটাই হলো আওয়ামী লীগ।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের ছাওয়াল কিছুই করেননি। তিনি বিরোধী দলে থাকার কথা বলে আওয়ামী লীগের সাথে গাটছড়া বেঁধেছেন। জোট করেছে। তিনি আর আমি আজ একসাথে একই বিমানে এসেছি। তিনি এই সরকারের পতাকা নিয়ে এসেছেন। যারা গুম, খুনের নায়কদের সাথে আঁতাত করে তাদের সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক, নির্বাচন পরিচালনা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, প্রার্থী কাওছার জামান বাবলা, মহানগর সভাপতি মোজাফফর হোসেন, সেক্রেটারী শহিদুল ইসলাম মিজু, জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সেক্রেটারী রইচ আহম্মেদ, সাবেক এমপি মহিলা সভাপতি শাহিদার রহমান জোসনা, জাসাস নেত্রী রেজেকা সুলতানা ফেন্সি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আহবায়ক আব্দুস সালাম, যুবদল জেলা সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, সেক্রেটারী সামসুল হক ঝন্টু, যুবদল মহানগর সভাপতি মাহফুজ উন নবী ডন, সেক্রেটারী লিটন পারভেজ, জেলা ছাত্রদল সভাপতি মনিুরজ্জামান হিজবুল, সেক্রেটারী শরীফ নেওয়াজ জোহা, মহানগর ছাত্রদল সভাপতি নুর হাসান সুমন, সেক্রেটারী জাকারিয়া জিমসহ বিপুল পরিমান নেতাকর্মী।

দৈনিক দেশজনতা /এন আর

প্রকাশ :ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭ ৬:৫৯ অপরাহ্ণ