নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ফুটেজ অবশেষে পুলিশের হাতে। যা ড্রাইভার বিল্লাল তার মোবাইলে ধারণ করেছিলেন। এই ভিডিওটি মামলার পরে ড্রাইভার বিল্লাল তার মোবাইল থেকে মুছে দিলেও মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের মোবাইল ফোনে সংরক্ষিত ছিল। সাফাত বিল্লালের মোবাইল থেকে নিজের মোবাইলে নিয়েছিল। সেখান থেকেই এটি উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মামলার অন্যতম আসামি নাঈম আশরাফ ওরফে বাটপার নাঈম ওরফে এম এইচ হালিম সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে আছে। শনিবার তার রিমান্ডের দ্বিতীয় দিন। একই সাথে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে রিমান্ডে থাকা আসামি বিল্লাল ও সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলীর। শনিবার আজাদের তিন দিনের রিমান্ড শেষ হচ্ছে। আর বিল্লালের চার দিনের রিমান্ড শেষ হবে রোববার।
এর আগে যথাক্রমে ছয় ও পাঁচ দিনের রিমান্ডে ছিলেন সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ। তারা দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে তারা কারাগারে আছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম আশরাফ পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। শুক্রবার রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-ডিএমপি) কার্যালয়ে নাঈমকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিল্লাল ও সাফাতের দেহরক্ষী রহমতকে তার মুখোমুখি করা হয়। তিনজনকে একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযোগের আরো সত্যতা পাওয়া গেছে। এমনটিই দাবি করেছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা।
মামলার তদন্ত সংস্থা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের উপকমিশনার (ডিসি) ফরিদা ইয়াসমিন জানান, আদালতের নির্দেশে রিমান্ডে থাকা আসামি নাঈম, বিল্লাল ও রহমত আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। নাঈম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করছি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইতোমধ্যেই আমরা পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে এখনই সব বলা যাবে না।
দৈনিক দেশজনতা/এমএইচ /সময়: ১১.৪৫