নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষকেরাই আসল প্রশ্নফাঁসকারী। আজ রোববার সচিবালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
শিক্ষাসংক্রান্ত নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে সচিবালয়ে এই যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নফাঁস বন্ধে বহু ধরনের সাজেশন এসেছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পরীক্ষার দিন আধঘণ্টা আগে প্রশ্ন ছাপিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার কথা হয়েছে। কিন্তু আমরা যখন বুঝলাম, আসল প্রশ্নফাঁসকারী তো শিক্ষক, তখন আধাঘণ্টা আগে দিয়েই লাভ কী।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি যখন আমার শিক্ষকের হাতে প্রশ্ন তুলে দেব, তখন তো নিরাপদ হয়ে ঘুমাতে যাওয়া উচিত। কিন্তু কিছু শিক্ষক সে সময় প্রশ্ন ফাঁস করে দেন।’ প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে আধঘণ্টা আগেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রে ঢোকার পর প্রশ্নপত্রের খাম খোলা হবে।
প্রথম আলো ফাইল ছবিমন্ত্রী বলেন, কিছু শিক্ষক ক্লাসে না পড়িয়ে বাড়িতে বা কোচিংয়ে পড়ান। যত বড় ভালো শিক্ষক, তত ক্লাসে কম পড়ান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দুদকের সঙ্গে তারা একসঙ্গে কাজ করবে।
সভায় দুদকের কমিশনার নাসির উদ্দিন আহমেদ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসসহ শিক্ষায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়ম ও সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালকের কাছে জানতে চান, বছরের পর বছর যেসব শিক্ষক ঢাকায় আছেন, তাঁদের বদলি করা হয় না কেন? একই সঙ্গে পাঠ্যপুস্তক ছাপানোয় দরপত্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিভি) চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চান দুদক কমিশনার। সভায় শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

