নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের লালপুরের কদিম চিলান গ্রামে স্বামী আব্দুস সোবাহান (৭৫) ও স্ত্রী শেফালী বেগমের (৬৫) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে অসুস্থ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলার পাটোয়ারী ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আব্দুস সোবাহান লালপুরের কদিম চিলানের মৃত আজগর আলী প্রামাণিকের ছেলে এবং তার স্ত্রী শেফালী বেগম বড়াইগ্রাম উপজেলার দাড়িখৈল গ্রামের মুনশাখ আলীর মেয়ে। রোববার সকালে ঘটনাটি পুলিশ জানতে পেরে নিহতদের বাড়ি থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের দুই ছেলে নওশাদ আলী ও আবু তালেবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
লালপুর থানার উপ-পরিদর্শক সুকমোল সরকার জানান, রাতে স্বামী-স্ত্রী খাওয়া-দাওয়া সেরে তাদের ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। কিছু সময় পর তারা দুজনই বমি করতে করতে অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরিবারের অন্য সদস্যরা প্রথমে আব্দুস সোবাহানকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলার পাটোয়ারী ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর রাতেই আব্দুস সোবাহানের স্ত্রী শেফালি বেগম আরো অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকেও পাটোয়ারী ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক শেফালী বেগমকেও মৃত ঘোষণা করেন। রাতেই নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যায়।
এদিকে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের বাড়িতে গিয়ে মৃতদেহ দুইটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু ওবায়েদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে জমিজমা সংক্রান্ত কোনে কারণে এই ঘটনাটি ঘটতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। মামলা দায়েরের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ