আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ডিসকভারির এক চ্যানেলে দাবি করা হয়েছে, তামিলনাড়ুর ধনুষ্কোটি থেকে পক প্রণালী ধরে শ্রীলংকা পর্যন্ত পানিতে ডুবে থাকা পাথরের সেতু প্রাকৃতিক নয়, মানুষের তৈরি। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে ধর্মীয় জিগির তুলে আগের ভারতের সাবেক কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি।
ডিসকভারি সায়েন্স চ্যানেলে অনুষ্ঠানটি এখনও সম্প্রচার হয়নি। কিন্তু তার প্রোমোতে বলা হয়েছে, উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে মার্কিন সংস্থা ‘নাসা’ দেখিয়েছে যে দু’দেশের মধ্যে সমুদ্রের নিচে দিয়ে থাকা প্রাচীরের ওপরের দিকের পাথরগুলোর প্রকৃতি একেবারেই আলাদা। সম্ভবত অন্য কোনো জায়গা থেকে এনে সেগুলো সেখানে বসানো হয়েছিল। আর্কিওলজিস্ট চেলসি রোজ জানিয়েছেন, ‘ওগুলো বেলে পাথর, সামুদ্রিক প্রবাল নয়। সুতরাং এর মধ্যে কোনো কাহিনী রয়েছে!’ কংগ্রেস সরকার পক প্রণালীতে ড্রেজিং করে জাহাজ চলাচলের পথ তৈরির একটি প্রকল্প নিয়েছিল, যার নাম ‘সেতুসমুদ্রম’। বিজেপি তাতে বাধা দিয়ে জানিয়েছিল, ওই সেতু রাম ও বানর সেনাদের তৈরি বলে মানুষের বিশ্বাস। ড্রেজিং করে তার কোনো ক্ষতি করা তারা মেনে নেবে না। মামলাও হয়।
তৎকালীন ইউপিএ সরকার সুপ্রিমকোর্টে হলফনামা দিয়ে বলে, প্রাকৃতিক এই সেতু রামের তৈরি বলে মানুষের বিশ্বাসের কোনো ভিত্তি নেই। ‘সেতুসমুদ্রম’ প্রকল্পটি হলে ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের মধ্যে জাহাজ চলাচলে সময় যেমন কম লাগবে, তেলের খরচও কমে যাবে। পরে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পরে সেই প্রকল্পে কাজ আর এগোয়নি। ডিসকভারি সায়েন্স চ্যানেল নতুন কথা বলার পরে আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘বিজেপির অবস্থান যে ঠিক, সেটা প্রমাণ হল।’ একই কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজুও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গয়াল বলেন, ‘রাম ভক্তি নিয়ে বিজেপির অপরাধ বোধ নেই। দলের কর্মীরা মনে করেন, রাম একজন আদর্শ মানুষ। তার তৈরি সেতুকে ক্ষতি করে কোনো কিছু হতে পারে না।’
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি