নিজস্ব প্রতিবেদক:
দামে সাশ্রয়ী। কোয়ালিটি বিশ্বমানের। ঝকঝকে জীবন্ত ছবি। সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে বাংলাদেশে তৈরি। নিয়মিত রপ্তানিও হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। আর এসব কারণেই বাজারে এখন হট কেক ওয়ালটনের ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি। সিআরটি টিভির তুলনায় দেখতে স্মার্ট ও চোখের ক্ষতি হয় না বিধায় এলইডি টিভির চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে ব্যাপক। বাজারে রয়েছে ওয়ালটনের ৩১টি মডেলের ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৯২ শতাংশ বেশি বিক্রি হয়েছে ওয়ালটনের ৩২ ইঞ্চি এলইডি টেলিভিশন। আর একই সময়ে ওয়ালটনের সব মডেলের এলইডি টিভি বিক্রি বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ।
সূত্র মতে, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন টেলিভিশন মেনুফ্যাকচারিং ইউনিটে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয়ে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের এলইডি টিভি তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০, ২৪, ২৮, ৩২, ৩৯, ৪৩, ৪৯ ও ৫৫ ইঞ্চির টেলিভিশন। উচ্চমান, সাশ্রয়ী মূল্য এবং দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবার কারণে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহক চাহিদার শীর্ষে ওয়ালটন টিভি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি। মডেল ভেদে এসব টিভির দাম ২০ হাজার ৮০০, ২০ হাজার ৯৯০, ২১ হাজার ৮০০ ও ২১ হাজার ৯০০ টাকা।
ওয়ালটন টিভি গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর সৌরভ আক্তার বলেন, দেশের সব শ্রেণিপেশার ক্রেতাদের রুচি ও ক্রয় সক্ষমতা অনুযায়ী বিভিন্ন আকারের অসংখ্য ডিজাইনের টেলিভিশন প্রস্তুত করছেন তারা। যাদের আয় একটু বেশি, তাদের অনেকেই কিনছেন ৪৩ ইঞ্চি এলইডি টিভি। এই আকারের টিভি কেনা যাবে ৪১ হাজার ৯০০ টাকা, ৪২ হাজার ৯০০ টাকা ও ৪৩ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া প্রাধান্য পাচ্ছে ১৯, ২০, ২৪ ও ২৮ ইঞ্চির টিভি। ওয়ালটনের এসব টিভির দাম পড়ছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৯০ টাকা, ১২ হাজার ৪৫০ টাকা, ১৪ হাজার ৫০০ টাকা ও ১৮ হাজার ৪০০ টাকা।
ওয়ালটন টেলিভিশন কারখানায় যুক্ত হয়েছে সারফেস মাউন্টিং টেকনোলজি (এসএমটি), ফাইভ এক্সিস ভিএমসি টেকনোলজি, আল্ট্রা-প্রিসাইজ কোয়ালিটি কন্ট্রোলের জন্য বিশ্বের লেটেস্ট সিএমএম টেকনোলজি, অটো-ইনসারশন, অটোমেটিক ইন্সপেকশন, ওয়েভ সোলডারিংসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি। পাওয়ার অ্যানালাইজে ব্যবহার করা হচ্ছে এসএমপিএস টেস্ট, ইলেকট্রিক্যাল পারফরমেন্স ও রিল্যায়েবিলিটি টেস্ট। ওয়ালটনে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ টেলিভিশন গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ। যেখানে অত্যন্ত মেধাবী, দক্ষ ও উচ্চ প্রশিক্ষিত প্রকৌশলীরা কাজ করছেন। সেখানে টেলিভিশনের প্যানেল, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, পিসিবি লে-আউট এবং টিভির স্ট্রাকচারসহ বিভিন্ন ডিজাইন তৈরি হচ্ছে। নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে টিভির ইলেকট্রনিক্স, অপ্টিক্যাল এবং মেকানিক্যাল ডিজাইনিংয়ে উদ্ভাবন করা হয়েছে নিজস্ব প্রযুক্তি। অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে ওয়ালটনের ২৮টি প্যাটেন্ট।
পৃথক ম্যানুফাকচারিং লাইন স্থাপনের মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে প্লাস্টিক কেবিনেট, স্পিকার, রিমোট কন্ট্রোল ইউনিট, মাদারবোর্ড এবং প্যানেল, টিভির মৌলিক কাঁচামালসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ। এতে করে টেলিভিশনের উৎপাদন খরচ যেমন কমেছে, তেমনি নিজস্ব তত্ত্ববধানে সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে। ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক (বিপণন) এমদাদুল হক সরকার বলেন, বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটন টিভি খুবই উচ্চমানের। যার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এসব টিভি নিয়মিত রপ্তানি হচ্ছে।
ওয়ালটন টেলিভিশন বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন বলেন, আইএসও ক্লাস সেভেন ডাস্ট ফ্রি ক্লিন রুমে তৈরি হচ্ছে এলইডি টিভির এসভিএ, আইপিএস এবং এইচএডিএস প্যানেল। যা প্যানেলের গুণগত মান ও দীর্ঘ স্থায়ীত্ব নিশ্চিত করছে। দর্শকরা পাচ্ছেন ওয়াইড ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল এবং হাই কন্ট্রাস্ট রেশিও। সেই সঙ্গে ওয়ালটন টিভিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে ব্যাপক। এসব উদ্যোগের স্বীকৃতিস্বরূপ ওয়ালটন টিভি অর্জন করেছে ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস) ও স্ট্যান্ডার্ডস অরগানাইজেশন অব নাইজেরিয়া প্রোডাক্ট কনফরমিটি অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রামের টেস্টিং সার্টিফিকেট।
উল্লেখ্য, ওয়ালটন টিভিতে ঝকঝকে ছবি ও শব্দের উচ্চমান নিশ্চিত করতে ডাইনামিক নয়েজ রিডাকশন, মোশন পিকচার, সর্বোচ্চ ফ্রেম রেট, ডলবি ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম সমৃদ্ধ নিজস্ব ডিজাইনের উন্নত প্রযুক্তির মাদারবোর্ড ব্যবহার করা হচ্ছে। ওয়ালটন টিভিতে দেওয়া হচ্ছে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। প্যানেলে রয়েছে ২ বছরের ওয়ারেন্টি। থাকছে ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সুবিধাও।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি